কোটিপতি হওয়ার উপায় – কেন কোটিপতির মত চিন্তা করবেন?
এই পোস্টে আমি আপনাকে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার উপায় বলতে পারবো না, তবে আপনি যদি সত্যি একজন কোটিপতি হতে চান তাহলে কিভাবে কোটিপতি হাওয়া যার তার প্রথম যে নিয়মটি আছে সেই বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা দিতে পারবো।
আমরা প্রত্যেকে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে চাই বা কোটিপতি হতে চাই। কোটি টাকা বা কোটিপতি শব্দটা শুনলেই আমাদের ভীতরে অন্যরকম একটা ফিল আসে, মন আনন্দে লাফালাফি করে।
কিভাবে আর কত তাড়াতাড়ি কোটি টাকা আয় করা যায় সেই চিন্তা সবসময় আমাদের মনের ভিতরে ঘুরপাক করে। কারণ, আমরা সবাই একটু সচ্ছল আর বিলাসী জীবন পছন্দ করি।
কিন্তু দিনশেষে আমরা কতজন কোটিপতি হতে পারি, নিজেকে একবার জিজ্ঞেস করুন তো?
আসুন আপনাদের সাথে একটা পরিসংখ্যান শেয়ার করি…
আপনি জানেন কি? – বর্তমানে ৫৬.০৮ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মিলিওনিয়ার আছে এই বিশ্বে, যাদের টোটাল সম্পত্তির পরিমান হচ্ছে ১৯১.৬ ট্রিলিয়ন ডলার। এবং তারা বর্তমান জনসংখ্যার ১.১ পার্সেন্ট।
কেন শুধু অল্পও সংখ্যক মানুষেরই (শতকরা ১.১%) কোটি টাকা আয় করার সৌভাগ্য হয়, বাকী ৯৮.৯৯% কেন পারেনা?
আপনি যদি এই ৯৮.৯৯% মানুষকে স্ট্যাডি করেন তাহলে একটা কমন বিষয় সবার মাঝেই পাবেন – বলতে পারবেন সেটা কি?
ওকে, আমি বলে দিচ্ছি…
উত্তর হচ্ছেঃ এরা সবাই কোটিপতি হতে চায় কিন্তু কোটিপতি হওয়ার জন্য যে মূল্য পরিশোধ করতে হয় (শ্রম দিতে হয় সঠিকভাবে) তা কেউই দেয় না। আরও মজার বিষয়টা হচ্ছে, এরা সবাই কোটিপতি হতে চায়, কিন্তু চলে একজন (সোজা বাংলায় বললে) টিপিক্যাল মানুষের মত।
আসলে আমাদের চিন্তাভাবনা খুবই টিপিক্যাল আর এই ধরণের চিন্তাভাবনা নিয়ে বেশি দূর আগানো যায় না। এজন্য প্রথমে আমাদেরকে এই টিপিক্যাল চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
আর একটা কথা যা আমাদের সমাজে বেশি প্রচলিত আছে তা হচ্ছে, সঞ্চয় করে কোটিপতি হওয়া।
আচ্ছা – একটা প্রশ্ন করি, সত্যি কি সঞ্চয় করে কোটিপতি হাওয়া যায়?
হয়তা অনেকে বলবেন যে যায় অংকের হিসেবে। এবার বলেন তো, সেই কোটি টাকার কোন মূল্য আছে যা দিয়ে আপনি আপনার শখ বা আহ্লাদই যদি পূরণ করতে না পারেন।
আমি এমন কোটিপতি হওয়ার সিস্টেমকে পছন্দ করি না, যার মাধ্যমে সারাজীবন কোন শখ পূরণ না করে কস্ট করে শুধু টাকা জমাতে বা সঞ্চয় করতে হবে।
বরং, আমি ঠিক এর উল্টো পছন্দ করি যেমন – শুরু থেকেই আমার ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে দ্রুত রেভিনিউ জেনারেইট করে তা থেকে আরও বেশি ইনকাম করা এবং সেই সাথে নিজের শখ গুলোও পূরণ করা।
আর এসব বিষয়গুলো আপনি একজন সফল মিলিওনিয়ারের মাঝে খুবই ভালোভাবে খুঁজে পাবেন।
তাহলে, কোটিপতি হওয়ার উপায় কি?
ওকে, আপনি যদি একজন কোটিপতি হতে চান, তাহলে প্রথমেই আপনাকে ভাবতে হবে একজন কোটিপতির মত এবং তার জীবন যাপনের উপর আপনাকে ভালো ধারণা রাখতে হবে।
শুরুতেই স্পষ্ট করে নিচ্ছি, কোটিপতি বলতে আমি এখানে সেলফ-মেড কোটিপতি বোঝাতে চাচ্ছি। আমি সেইসব ব্যাক্তিদের কে বোঝাচ্ছি না যারা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত অঢেল সম্পত্তির মালিক (নিজে থেকে তারা এই সম্পত্তি উপার্জন করতে কিছুই করেনি)।
নোটঃ বর্তমান পৃথিবীর ৮৮% মিলিওনিয়ারই কিন্তু সেলফ-মেড, যারা নিজের পরিশ্রমে কোটিপতি হয়েছে বাকী ১২% উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত। তথ্যসূত্র – ফরচুনলি.কম
আমি আপনার আমার মত সেইসব মানুষ সম্পর্কে বলছি যারা খুবই অল্প কিছু দিয়ে শুরু করে, পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের ভাগ্যকে বদলিয়েছে। সেইসব ব্যাক্তি যারা জীবিকা নির্বাহের জন্য কাজ করি।
তাই আপনি যদি একজন সেলফ-মেড কোটিপতি হতে চান, তাহলে প্রথমে একজন কোটিপতি ব্যাক্তির সম্পর্কে অনেক ভালো ধারণা রাখতে হবে যেমন – তাদের লাইফস্টাইল ও বিজনেস সম্পর্কে তাদের পছন্দ-অপছন্দ গুলি।
তারা কোথায় থেকে কিভাবে আয় করে? তারা তাদের সময়কে কিভাবে ব্যায় করে। তারা কোন কাজগুলিতে বেশি ফোকাস করে? এককথায়, তাদের নিজের অর্থ ও সময় কোথায় কোন কাজে ইনভেস্ট করে।
আমি খুবই ভালোভাবে এমন সেলফ-মেড কোটিপতিদের পর্যবেক্ষন করেছি এবং দেখেছি যে তারা সব সময় এমন সব জায়গায় বিনিয়োগ করে যেখান থেকে তারা খুবই ভালো রিটার্ন পায়।
একজন কোটিপতির কাছে অনেক ধরণের এ্যাসেট আছে তবে, বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হিসেবে তারা ট্রিট করে তাদের সময়কে।
তাহলে কোটিপতিরা কীভাবে তাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ “তাদের সময়” ব্যয় করেন?
তারা কি আপনার আমার মত প্রতিনিয়ত ইমেইল চেক করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে, অনলাইনে গেইম খেলে বা ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত থাকার মত লো-লেভেল কাজ করে?
উত্তর হচ্ছে না, তবে যদি প্রয়োজন পরে তখন তারা এই কাজের জন্য কাউকে হায়ার করে অল্প খরচে। আর তাদের মূল্যবান সময় ব্যায় করে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য।
আমি বেশ কিছু কোটিপতিকে খুবই কাছ থেকে স্ট্যাডি করেছি, তাদের অনেকই শুধু মাত্র ফ্যামিলি এবং অতি গুরত্তপুর্ণ ব্যাক্তি ছাড়া তাদের ফোন নাম্বার কারো সাথে শেয়ার করে না।
এছাড়া অল্প সংখ্যক ফেসবুক ব্যবহারই করে না জাস্ট তাদের একটা এ্যাকাউন্ট আছে, আর বেশিরভাগই হতবা দিনে বা সপ্তাহে ৩০ মিনিটের বেশি তো নয়ই।
কিন্তু ভাবা যায় তারা অনলাইন বা অফলাইনে কোটি টাকার ব্যবসা করে অথচ এসব টেকনোলজি থেকে নিজেদের দূরে রাখে। কারণ, তারা মনে করে এগুলো টাইম ওয়েস্টিং ছাড়া কিছুই নয়।
আপনাদের জন পলের গল্পটা একটু বলি, তাহলে আপনাদের আরও ভালো ধারণা হবে।
জন পল হচ্ছেন প্যাট্রন স্প্রিটস কোম্পানির মালিক এবং উনি ওনার একজন বন্ধুর সাথে মিলে একটা হেয়ার কেয়ার কোম্পানি শুরু করেন তার নাম হচ্ছে “জন পল মিচেল সিস্টেম”।
উনি ওনার প্রাইভেট কারে ঘুমাতেন এবং মানুষের দরজায় দরজায় গিয়ে শ্যাম্পু বিক্রি করতেন। এরপর ১৯৮০ সালে উনি মিচেল এর সাথে টীম-আপ করেন এবং তখন তাদের ইনভেস্টমেন্ট ছিল মাত্র ৭০০ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় বর্তমানে ৭০ হাজার টাকা।
এবং পরে এই কোম্পানিটি একটি বিলিয়ন ডলার কোম্পানিতে পরিনত হয়। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, এই জন পলের কোন ইমেইল এ্যাড্রেসই ছিল না।
এই মানুষটি দুই-দুইটি বিলিয়ন ডলার বিজনেস প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন অথচ তার ইমেইল এ্যাড্রেস বা স্মার্টফোন ছিল না – অবিশ্বাস্য লাগলেও এটিই সত্যি।
উনি নিজেকে সবসময় টেক-লাইফ থেকে নিজেকে দূরে রাখতেন। যদিও উনি টেসলা ইলেকট্রিক কার ব্যবহার করেন কিন্তু আপনি ওনার কাছে কোন কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট পাবেন না।
উনি বলেন যে, “আমি অসংখ্য ইমেইলের স্রোতে ভেসে যাবো যদি আমি ইমেইল ব্যবহার করি”।
তাহলে মূল কথাটি কি দাড়াচ্ছে?
একজন বিলিওনিয়ার বা কোটিপতি তার সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করেন। এমন কোন কাজে তারা সিংগেল মিনিট ব্যায় করেন না যেখানে অহেতুক সময় নস্ট হয়।
এর মানে এই নয় যে, আপনাকে আমি টেকনোলজি থেকে দূরে থাকতে বলছি।
এখানে আমি আপনাকে বোঝানোর চেস্টা করছি যে, প্রতি ৩০ মিনিট বা প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় ইমেইল চেক না করে দিনের নির্দিস্ট একটা সময় বেছে নিন, যে আমি সকালে ৫ মিনিট এবং সন্ধ্যায় বা রাতে ৫-১০ মিনিট ইমেইল চেক করবো।
এর ফলে আপনি দেখবেন এখন অনেক বেশি সময় পাবেন অন্য কাজ করার জন্য। এবং চেস্টা করুন প্রোডাক্টিভ কিছু করার।
সারাদিন ফেসবুক স্ক্রল করে, টিকটক ভিডিও দেখে বা ইউটিউবে দীর্ঘ সময়ে ধরে নাটক বা সিনেমা না দেখে নিজের স্বপ্ন পূরণে কাজ করুন।
আমি যখন অফিসে যাই, সেই সময়টুকু আমি আমার স্মার্টফোনে ই-বুক বা বই পড়ি (এর ফলে দেখা যায় প্রতি মাসে আমার একটা বই পড়া হয়)। কারণ, এর ফলে আমার জ্ঞান বাড়বে।
কিন্তু যখন আসেপাশে লক্ষ্য করি তখন দেখি ম্যাক্সিমাম লোক ফোনে অপ্রয়োজনীয় কথা বলছে না হয় ফেসবুক বা টিকটক বা ইউটিউবে ভিডিও দেখে সময় ব্যায় করছে।
কিন্তু মনে রাখবেন, এভাবে আপনি আপনার মহামূল্যবান সময়কে হেলায় নস্ট করবেন আর দিনশেষে আপনার ভাগ্যকে দোষারোপ করবেন, লাভ নেই।
কারণ, আপনি নিজেই যেখানে একজন সাধারণ মানুষের মত জীবন যাপন করবেন আর সপ্নে কোটি টাকা ইনকামের চিন্তা করবেন – সেটা দিবা স্বপ্ন ব্যাতিত অন্য কিছু নয়।
মনে রাখবেন, একজন বিলিয়নিয়ার বা কোটিপতি হতে গেলে কোটিপতিদের লাইফ-স্ট্যাইল ফলো করুন। তাদের মত সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে কাজ করুন – দেখবেন একদিন ইনশাআল্লাহ্ আপনিও কোটিপতি হবেন।
এবার আসুন দেখি, কিভাবে আপনি আপনার সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করবেন?
সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে, প্রথমে আপনার কাজ গুলোকে পর্যালোচনা করতে হবে।
প্রতিদিন আমরা অনেক কাজ করি, এর অনেক গুলো কম গুরত্তপুর্ণ এবং কিছু কাজ করি যেগুলো খুবই গুরত্তপুর্ণ।
তো, আমাদের প্রথম যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে – এই কম গুরত্তপুর্ণ কাজ গুলোকে খুঁজে বের করতে হবে যে গুলোতে আমরা অত্যাধিক সময় ব্যায় করে থাকি।
এবার এই কাজ গুলোকে দিনের নির্দিস্ট অল্প সময়ে (সর্বোচ্চ ১ ঘন্টায়) শেষ করার একটা রুটিন করতে পারি। অথবা যদি সামর্থ থাকে তাহলে একজন লোক নিয়োগ দিতে পারি বা ফ্রিল্যান্সার দ্বারা আউটসোর্স করাতে পারি।
এখানে আসে ৮০/২০ রুল, মানে আমাদের প্রতিদিনের খুবই গুরত্তপুর্ণ ২০% কাজ থেকে আমরা ৮০% রেজাল্ট পাই (রেভিনিউ জেনারেইট করি বা টাকা ইনকাম করি)।
অন্যদিকে সেই আমাদের কম গুরত্তপুর্ণ ৮০% কাজ থেকে আমরা ২০% রেজাল্ট পাই।
এর অর্থ দাড়াচ্ছে, আমরা কম গুরত্তপুর্ণ কাজের পিছনে ৮০% সময় ব্যায় না করে যদি এই ৮০% সময় আমরা খুবই গুরত্তপুর্ণ কাজে ব্যায় করি (যার মাধ্যমে আমরা অর্থ আয় করি), তাহলে আমরা কতটা সফল হতে পারবো – ভেবে দেখেছেন।
এর জন্য আমাদের প্রতিদিনের কাজের নোট নিতে হবে সবার আগে, তারপর এখান থেকে কম গুরত্তপুর্ণ কাজ গুলো অন্য কারো মাধ্যমে করিয়ে নিতে হবে বা দিনের একটা নির্দিস্ট সময় করতে হবে।
এখন আপনি খুঁজে পেয়েছেন যে, সবচেয়ে বেশি গুরত্তপুর্ণ কাজ সমূহ যা আপনি যত আগে শেষ করবেন তত দ্রুত আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
এবার একে একে সেই কাজ গুলো করুন এবং দিনের শুরুতে করুন। কারণ, দিনের শুরুতে আমাদের প্রোডাক্টিভিটি অনেক বেশি হয়ে থাকে। বা আপনি আপনার হাইলি প্রোডাক্টিভ সময় কে খুঁজে বের করুন।
যেমন – আমি সবচেয়ে বেশি প্রোডাক্টিভ থাকি সকাল ৬টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত, এরপর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। এই সময় গুলোতে আমি এক ঘন্টায় যে কাজ করতে পারি তা অন্য সময় আমার ২/৩ ঘন্টার বেশি লেগে যায়।
তাহলে কি দাড়াচ্ছে বিষয়টা – আমরা যদি আমাদের হাইলি প্রোডাক্টিভ সময় গুলোকে আইডেন্টিফাই করতে পারি তাহলে সেই সময়কেও কাজে লাগিয়ে খুবই গুরত্তপুর্ণ কাজ গুলো আরও দ্রুততার সাথে শেষ করতে পারি।
মনে রাখবেন, ব্যস্ত থাকা আর প্রোডাক্টিভ থাকা এক জিনিস না।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমাদের সবাইকে অনেক কিছু ফেস করতে হয়। আর এসব কিছুর মধ্যে আপনার কাজের ফোকাস ধরে রাখা অনেক কঠিন কাজ।
একজন সফল মানুষ হিসেবে বা একজন সফল এন্টারপ্রেনার হিসেবে আপনাকে ফোকাস ঠিক রেখে বেশি গুরত্তপুর্ণ কাজ গুলো করতে হবে যা আপনাকে অর্থ আয় করতে সাহায্য করবে।
আপনি যদি নিজেকে একজন সফল অনলাইন এন্টারপ্রেনার বা অন্টাপ্রেনার হিসেবে গড়ে তুলতে চান তাহলে আমার এই ব্লগটি আপনাকে অনেক হেল্প করবে সঠিক গাইডলাইন পেতে।
আপনার মতামত জানাতে অবশ্যই কমেন্টস করবেন, কোন প্রশ্ন থাকলে কন্ট্যাক ফর্ম ব্যবহার করে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন।
Related Posts
Comment (1)
Leave a comment Cancel reply
This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.
Rakibul
July 26, 2023Good and Practical suggestions—Thanks