Over 10 years we helping companies reach their financial and branding goals. Onum is a values-driven SEO agency dedicated.

CONTACTS

৭টি কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্রাটেজি যা উপেক্ষা করতে পারবেন না

এই ব্লগ পোস্টে আমি আপনাদের সাথে ৭টি কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্রাটেজি সম্পর্কে জানাবো যা বর্তমান এবং নিকট ভবিষ্যতে আপনার বিজনেস গ্রো করতে ব্যপক ভূমিকা রাখবে।

আপনি জানেন কি – কনটেন্ট মার্কেটিং আপনার অন্যান্য মার্কেটিং মেথডের তুলনায় ৬-গুণ বেশি কনভার্শন আনতে পারে। এর মাধ্যমে আপনি কম খরচে দীর্ঘমেয়াদী মার্কেটিং বেনিফিটস পাবেন, এমনকি পেইড সার্চের চেয়েও।

৭টি কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্রাটেজি যা উপেক্ষা করতে পারবেন না

সুতরাং, আপনি যদি একটি নতুন ব্লগ শুরু করতে চান বা আপনার ওয়েবসাইটের এসইও ইম্প্রুভ করতে চান বা সফল পডকাস্ট বিজনেস চালু করতে চান, তাহলে আপনাকে লেটেস্ট কন্টেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখার পাশাপাশি সঠিক স্ট্রাটেজি তৈরি করতে হবে।

এজন্য নিম্ন বর্নিত স্ট্রাটেজিগুলো আপনার কন্টেন্ট মার্কেটিং পরিকল্পনায় যোগ করে, আপনার বিজনেসকে কম্পিটিটর থেকে বা একজন কন্টেন্ট মার্কেটার হিসেবে নিজেকে অনেক এগিয়ে রাখতে পারবেন।

সেরা কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্রাটেজি সমূহ কি কি?

আশাকরি আমার ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজির মত এই কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্রাটেজিও অনেক উপকারে আসবে।

আর এই ব্লগ পোস্ট থেকে ভালো বেনিফিট পাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো না করে ভালোভাবে পড়ে বোঝার চেস্টা করুন।

১। কনভার্শনাল মার্কেটিং এর উত্থান

সাম্প্রতিক সময়ে কনভার্শনাল (কথোপকথন) মার্কেটিং নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে ইকমার্স মার্কেটিং ফোরাম গুলোতে। এটি ইতিমধ্যে কন্টেন্ট মার্কেটিং পরিকল্পনা এবং বিক্রয় কৌশলের সেরা মাধ্যম হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরি করে ফেলেছে।

কিন্তু এই কনভার্শনাল বা কথোপকথন মার্কেটিং বিষয়টা কি?

এক কথায়, সরাসরি একজন কাস্টোমারের সাথে কথা বলে তাকে সেলস ফানেলে নিয়ে এসে কনভেন্স করে তার কাছে আপনার পণ্য বা সার্ভিস সেল করা।

কোন মিল খুজে পাচ্ছেন? এভাবে আমরা ঠিক কোথায় কিভাবে সেল করি।।

জী, ঠিকিই ধরতে পারছেন – ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার বা চ্যাট অপশন ব্যবহার করে আমরা যে মার্কেটিং করি এবং প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করি, সেটাই হচ্ছে কনভার্শনাল বা কথোপকথন মার্কেটিং।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে এর সাথে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর সম্পর্ক কি? কি ঠিক বলছি তো …

উত্তর হচ্ছে – চ্যাট বটের ব্যবহার।

এই চ্যাট বট মূলত হচ্ছে একটা টুলস, যা আপনার কনভার্শনাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত একই সাথে ইফেক্টিভ কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্রাটেজির অংশ।

এ্যাক্সেঞ্চার এর একটি সার্ভেতে ৫৭% অনলাইন বিজনেস একমত যে, এই কনভার্শনাল বট সমূহ অল্প ইফোর্টে অনেক বড় অংকের রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্ট আনতে পারে।

কনভার্শনাল মার্কেটিং

একটি চ্যাটবটের অনেক সুবিধা রয়েছে, আপনি গুগোলের কথাই ভাবুন না আপনি যখন কোন কিছু লিখে গুগোলে সার্চ করেন তখন সার্চ বটগুলো আপনার জন্য সবচেয়ে পার্ফেক্ট সার্চ রেজাল্টগুলোই শো করে।

এমনকি আপনার কন্টেন্ট সঠিকভাবে সঠিক সময়ে দ্রুততার সাথে কাস্টোমারের কাছে ডিস্ট্রিবিউট করতে পারে।

এজন্যই বর্তমানে বড় বড় সব অনলাইন বিজনেস চ্যাট বটের ব্যাপক ব্যবহার শুরু করেছে।

কারণ, এটি এত দ্রুততার সাথে এবং একসাথে এত বেশি কাস্টোমারকে রিপ্লাই দিতে পারে, তা যদি আপনি ম্যানুয়্যালি মানুষ দিয়ে করতে চান তাহলে কি পরিমাণ ব্যয় হবে ভেবে দেখুন।

এর দ্বারা আপনার বিজনেসের অপারেটিং খরচ কমানোর পাশাপাশি অল্প সময়ে কাস্টোমারকে ভালো সার্ভিস এবং বেশি সেলস দিতে পারবেন আপনি।

শুধু প্রয়োজন সঠিক কমান্ড এবং সঠিক ব্যবহার …

কারণ, যদি আপনার ওয়েবসাইট এর ইউজার বুঝে যায় যে সে একটা রোবোট এর সাথে কথা বলছে তাহলে কিন্তু সে তার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

এজন্য মার্কেটের সস্তা বট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এর পরিবর্তে ভালো মানের AI (আর্টিফেশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) বট ব্যবহার করুন।

পাশাপাশি ফর্মাল ভাষার পরিবর্তে ন্যাচারাল কনভার্শনাল টোন ব্যবহার করুন। যা আপনার ব্রান্ড পার্সোনালিটির সাথে ম্যাচ করে।

২। ইন্টারেক্টিভ কন্টেন্ট এর ব্যবহার

ইন্টারেক্টিভ কন্টেন্ট হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট ফর্ম্যাট যা ব্যবহার করে অংশগ্রহণকারীকে কোন একটি এ্যাকশন নিতে উৎসাহিত করার মাধ্যমে তার কাছে মার্কেটিং মেসেজটি পৌছিয়ে দেয়া।

বর্তমান সময়ের ইন্টারএ্যাক্টিভ কন্টেন্ট এর সবচেয়ে সেরা মাধ্যমে গুলো হচ্ছে –

  • অনলাইন কুইজ
  • ক্যালকুলেটর
  • ইবুক
  • ইনফোগ্রাফিক্স
  • ল্যান্ডিং পেজ
  • প্রশ্ন-উত্তর

এর মাধ্যমে ইউজারের সাথে এ্যাটাচমেন্ট বাড়ানো যায়।

আপনি যদি ভালো রেসপন্স পেতে চান আপনার টার্গেটেড ইউজার বা কাস্টোমারের কাছ থেকে তাহলে প্রথমে তার সাথে আপনার সম্পর্ক তৈরি করতে হবে কথোপকথনের মাধ্যমে।

আর এই কথোপকথন বৃদ্ধির সবচেয়ে ভালো মাধ্যমে হচ্ছে ইন্টারেক্টিভ কন্টেন্ট।

বর্তমান সময়ে আমরা দেখতে পাই যে, বড় ব্রান্ড গুলো বিভিন্ন ইনোভেটিভ উপায় অবলম্বন করছে।

অনলাইন কুইজ মেকার

তারা বিভিন্ন অনলাইন কুইজ মেকার টুলসের সাহায্যে ইউজার এঙ্গেইজমেন্ট বাড়াচ্ছে বা মজাদার ল্যান্ডিং পেজ কিংবা নানান গেমিং ও ফ্যাসিনেটিং টেকনিক ব্যবহার করে তাদের কাস্টোমার জার্নিকে আরও বেশি ইন্টারএ্যাক্টিভ করে তুলেছে।

এর ফলে তারা শুধু ইউজার এঙ্গেইজমেন্টই না, অনেক ভ্যালুয়েবল ফিডব্যাক পাচ্ছে যা অনলাইন বিজনেস গ্রোথের জন্য অনেক ইফেক্টিভ।

সুতরাং আপনি এসব মাধ্যম ব্যবহার করে খুবই সহজে এবং অল্প খরচে আপনার টার্গেটেড ইউজারদের মনে জায়গা করে নিতে পারবেন।

৩। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং

আমি দীর্ঘদিন থেকে বলে আসছি, যে বর্তমান যুগ হচ্ছে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর যুগ। কারণ, এখনকার ইউজারদের প্রভাবিত করার সবচেয়ে সেরা মাধ্যম হচ্ছে এটি।

আপনি যদি আমাদের দেশের নামকরা ইউটিউবারদের চ্যানেল ফলো করেন তাহলে দেখতে পারবেন যে তারা বড় ব্রান্ড সমূহের পণ্য বা সার্ভিসকে তাদের ভিডিও থেকে প্রোমেট করছে।

আমি বিশ্বাস করি যে, আপনি অবশ্যই দেখছেন।

আপনার মনে প্রশ্ন জাগে না যে, কেন এত বড় ব্রান্ড এদেরকে স্পন্সর করছে?

শুধুই কি বেশি বেশি অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছানোর জন্য?

কিন্তু আপনি জানেন কি?

মাত্র ৩০ সেকেন্ড থেকে ১মিনিটের জন্য ইনফ্লুয়েন্সাররা যে পরিমাণ পেমেন্ট নিয়ে থাকে তা দিয়ে আপনি ফেসবুকে নরমাল বুস্টিং করে আরও বেশি অডিয়েন্সের কাছে পৌছাতে পারবেন।

সঠিক উত্তরটি হচ্ছে – ব্রান্ডের ট্রাষ্ট বৃদ্ধি করা এবং একদম নিশ স্পেসিফিক ইউজারের কাছে পৌঁছানো যায় বিধায় অনেক সেলস জেনারেইট করা যায়।

কারণ, প্রত্যেকটি ইনফ্লুয়েন্সারের অনেক ডাই-হার্ট ফ্যান থাকে যারা তাকে প্রচন্ড রকম ফলো করে। এছাড়াও বর্তমানে ক্রেতারা কোন কিছু কেনার পুর্বে সেই ফিল্ডের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ইনফ্লুয়েন্সারের মতামতকে বেশি প্রাধান্য দেয়।

সুতরাং আপনার কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্রাটেজি এর জন্য ইফেক্টিভ এবং আপনার ব্রান্ডের সাথে ম্যাচ করে এমন ইনফ্লুয়েন্সারের সাথে পার্টনারশিপ করতে হবে।

শুধুমাত্র তাদের অডিয়েন্স না দেখে তাদের কন্টেন্ট কোয়ালিটি দেখুন, লয়্যাল ফ্যানবেজ চেক করুন যদি আপনি ভালো (ROI) রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্ট পেতে চান।

বেশিভাগ ক্ষেত্রে বড় ইনফ্লুয়েন্সারের চেয়ে ছোট ইনফ্লুয়েন্সাররা বেশি ইফেক্টিভ (পরীক্ষিত), যাদের ফ্যানবেজ ১০-৫০ হাজারের মধ্যে।

কারণ, খুবই কম খরচে আপনি এদের সাথে পার্টনারশিপে যেতে পারবেন, আর এরা আরও বেশি স্পন্সর পাওয়ার জন্য অনেক জোর দিয়ে আপনার প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসকে হাইলাইটস করবে।

শুধু আপনার মাথায় রাখতে হবে কন্টেন্ট কোয়ালিটি যেন খুবই ভালো মানের হয়। 

গ্লোবাল নিউজওয়্যারের একটা (সেলিব্রেটি VS নন-সেলিব্রেটি) জরিপে ৭২% ইউজার এসব ছোট বা মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সারকে বেশি ট্রাষ্ট করে এবং ৬৮% ইউজার তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অনলাইনে কেনাকাটা করে থাকেন।

গ্লোবাল নিউজওয়্যার

সুতরাং, আপনি যদি কোন স্পেসিফিক নিশের ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং করতে চান। তাহলে আমি আপনাকে সাজেস্ট করবো যে…

একজন সেলিব্রেটি ইনফ্লুয়েন্সার এর পরিবর্তে সেই খরচে আপনি ১০-১৫ জন ছোট ইনফ্লুয়েন্সার দিয়ে প্রোমোট করলে অনেক বেশি রিটার্ন আনতে পারবেন।

৪। ডিজাইন এবং ভিজ্যুয়াল ডেটা

আপনি কিভাবে আপনার কন্টেন্টকে বাস্তবতায় রুপান্তর করবেন?

এক কথায় উত্তর হচ্ছে – ভিজ্যুয়াল ডেটা

আপনার কন্টেন্টে ফ্যাক্টস উঠিয়ে ধরাটা যেমন অনেক সুন্দর একটা ব্যাপার তেমনি আপনি যদি সেই সাথে স্ট্যাটিস্টিক্স সহ ভিজ্যুয়াল ডেটার সঠিক ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে সেই কন্টেন্ট অনেক বেশি প্রাভাব তৈরি করবে।

বর্তমান সময়ে মার্কেটিং পুরোপুরি ডেটা নির্ভর আর এজন্যই একে বলা হয় ডেটা ড্রিভেন ডিজিটাল মার্কেটিং।

তাই এক্সপার্টরা সবাই একমত যে, এখন থেকে সামনের বছরগুলোতে সেই ব্রান্ডগুলোই খুব ভালো করবে যারা তাদের ডেটা লিস্টকে সমৃদ্ধ করতে পারবে এবং সঠিকভাবে প্রদর্শন করতে পারবে।

সামনের দিনগুলোতে আমরা ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করবো যে ব্রান্ডগুলো তাদের কন্টেন্টে অনেক বেশি ডেটার ব্যবহার করবে ইনফোগ্রাফিক্স এর মাধ্যমে তাদের ব্রান্ড প্রোমোশন এবং ট্রাষ্ট বিল্ডিং এর জন্য।

এজন্য ইউনিক ডিজাইনও অনেক বেশি কার্যকরি ভূমিকা পালন করবে।

কারণ, বর্তমানে অনলাইনে এত বেশি কন্টেন্ট যার মধ্যে থেকে ইউজার এট্রাকশন পাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেস্ট কন্টেন্ট আপনাকে তৈরি করতে হবে।

সেজন্য, আপনি যদি ইউনিক ডিজাইনের ভিজ্যুয়াল ডেটা ভিত্তিক কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করতে পারেন তাহলে শুধু এখনই নয়, আগামি দিনগুলোতে আপনার বিজনেস বা ব্রান্ড প্রেজেন্স তৈরি করা অনেক সহজ হবে।

ভিজ্যুয়াল ডেটা

এজন্য আপনি ক্যানভা অনলাইন গ্রাফিক্স ডিজাইন টুলসের ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে নিজেই এমন ডিজাইনের কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন।

অথবা আপনি একজন প্রোফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার (মোশন ডিজাইনার হলে আরও ভালো হয়) কে ফ্রিল্যান্স বা রিমোট জব এর মাধ্যমে হায়ার করে এই টাইপের কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন।

এরপর সেই কন্টেন্টকে সঠিক প্ল্যাটফর্মে সঠিকভাবে মার্কেটিং করতে পারলেই বুঝতে পারবেন যে ইউনিক ডিজাইনের ভিজ্যুয়াল ডেটা পাওয়ার কত বেশি।

৫। অনলাইন কমিউনিটি এ্যাক্টিভিটিস

একটা কমিউনিটি শুধুমাত্র কিছু মানুষ নয় যারা আপনার বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ব্যবহার করে থাকে। এখানে মানুষ নিজ থেকেই আসে, অংশগ্রহণ করে এবং পারস্পরিক ভালবাসার দ্বারা একত্রিত হয়।

এখন যদি এমনকিছু আপনার পণ্য বা সার্ভিস হয় যা এই মানুষগুলোর প্রয়োজনকে টাচ করতে পারে, তাহলে আপনি এক্ষেত্রে উইনার।

এখন আপনি যদি একটা কমিউনিটি পান বা তৈরি করতে পারেন যারা আপনার পণ্য বা সার্ভিসে ইন্টারেস্টেড তাহলে তো কথাই নেই।

আর এজন্য আপনাকে লাইক মাইন্ডেড লোকজনকে একত্রিত করতে হবে।

এমন একটা কমিউনিটি তৈরি করতে বা পুরোনো কমিউনিটিতে আপনাকে কোয়ালিটি কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে বিভিন্ন ডিমান্ডিং টপিকের উপর অথবা আপনার নিশের সাথে মিল আছে এমন ধরণের কন্টেন্ট (ভিজ্যুয়াল এবং ডেটা ভিত্তিক কন্টেন্ট এক্ষেত্রে ভালো কাজ করে)।

এভাবে কন্টেন্ট এর ব্যবহার করে আপনাকে প্রথমে ইউজারের ট্রাস্ট অর্জন করতে হবে।

অনলাইন কমিউনিটি

উদাহরণ সরূপ …

আমি একজন ডিজিটাল মার্কেটার, তো আমি প্রথমে ডিজিটাল মার্কেটিং রিলেটেড গ্রুপ গুলোতে এ্যাড হব এবং সেই সাথে নিজেও একটা গ্রুপ তৈরি করবো, আমার ফিউচার বা বর্তমান সার্ভিসের উপর।

এখন আমি বিভিন্ন গ্রুপে অথেনটিক পোস্ট করবো, আমার স্কিল এবং এক্সপার্টিজের উপর। অন্যদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বা সমাধান দিয়ে ওই গ্রুপের এ্যাক্টিভ ইউজারদের মাঝে নিজের একটা ট্রাস্ট তৈরি করার চেস্টা করবো।

এর পুর্বেই আমি আমার প্রোফাইলকে অপ্টিমাইজ করে নিবো, আমার সাইটের বা পেজের বা গ্রুপের লিংক এর মাধ্যমে।

এখন উক্ত গ্রুপ থেকে অনেক মানুষ আমার প্রোফাইলে আসবে, এসে আমার প্রোফাইলে আগে থেকে সেট করা লিংকে ক্লিক করে আমার পেজ বা গ্রুপ বা ওয়েবসাইট এ যাবে এবং সেই কন্টেন্ট যদি তাদের ভালো লাগে তাহলে বুকমার্ক করে রাখবে নেক্সট টাইম ভিজিট করার জন্য।

অথবা আমার পেজে লাইক দিবে বা গ্রুপে জয়েন করবে কারন তারা সবাই আমার লাইক্-মাইন্ডেড ইউজার। এভাবে একটা সময়ে তারা আপনার সার্ভিস বা পণ্যের ক্রেতা হয়ে যাবে, যা আপনার আল্টিমেইট গোল।

এজন্য আপনাকে নিয়মিতভাবে প্রতিটি গ্রুপে এ্যাক্টিভিটি বাড়াতে হবে এবং সেই সাথে সব ধরণের গ্রুপিং বা কনফ্লিট থেকে নিজেকে সেইফ রাখতে হবে।

কারণ, আপনার পার্সোনালিটি, শব্দের ব্যবহার সবকিছুই আপনার ব্রান্ড বা বিজনেসের সাথে জড়িত।

আশাকরি এভাবে যদি আপনি অর্গানিকালি কাজ করতে পারেন তাহলে কয়েকমাসের মধ্যেই আপনি অনেক ভালো একটা জায়গা তৈরি করতে পারবেন।

৬। পডকাস্ট পাবলিশিং

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ৭০ লাখের বেশি এ্যাক্টিভ পডকাস্ট রয়েছে এবং এর পর্বগুলির পরিমাণ ৫০ মিলিয়নেরও বেশি!

এই সংখ্যাগুলি দেখেই বুঝতে পারছেন যে, পডকাস্ট কি পরিমান জনপ্রিয় এবং এর ফিউচার কত বিশাল।

আপনি আরো জেনে অবাক হবেন যে, একজন শ্রোতা প্রতি সপ্তাহে কমবেশি ৭টি ভিন্নধরনের পডকাস্ট শো শোনেন।

এবং এভারেইজ ৮০% শ্রোতা পুরো পডকাস্ট মনোযোগ সহকারে শোনেন, যা এযাবৎ কালের সকল মিডিয়ার মধ্যে সেরা।

পডকাস্টগুলি শুধুমাত্র ২০২০ থেকে ২০২২ সালেই ব্যাপক পরিমান শ্রোতা তৈরি করে যা এক্সপার্টরা প্রেডিক্ট করেছিল তার চেয়েও অনেকগুন বেশি।

তো, এমন একটা আপ-রাইজিং প্ল্যাটফর্মে যদি এখন থেকেই আপনি আপনার জায়গা তৈরি করে নিতে পারেন তাহলে আপনার বা আপনার বিজনেসের ভবিষ্যৎ যে অনেক উজ্জ্বল তা বলাই বাহুল্য।

আর এই সেক্টরে নিজের বা বিজনেসের জায়গা তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনাকে জানতে হবে যে কিভাবে পডকাস্ট করবেন এবং সেই সাথে খুবই ভালো একটা সাউন্ড স্টুডিও সেটআপ তৈরি করতে হবে।

এভাবে যদি আপনি আপনার শ্রোতাদের মাঝে নিজের একটা ইমেইজ তৈরি করতে পারেন তাহলে দেখবেন তারা আপনার সাথে নিজেকে কানেক্ট করবে এবং আপনার পণ্য বা সার্ভিসের একজন ক্রেতায় পরিনত হবে।

পডকাস্ট

পডকাস্ট জনপ্রিয় হবার কারণ কি বলতে পারেন?

কারণ, তারা কারো সময় নস্ট করে না। কি অবাক হচ্ছেন?

সত্যি! কারণ একজন শ্রোতা পডকাস্ট শোনাকালীন সময়ে অন্য সকল কাজ করতে পারেন যা আগেকার দিনের রেডিও শোনার মত বা গান শোনার মত।

ভিডিও প্ল্যাটফর্ম গুলোতে যেভাবে এ্যাক্টিভ থাকতে হয় কোন কিছু বোঝার জন্য সেসবের কোন বালাই নেই এখানে।

এজন্য শ্রোতারা তাদের ইচ্ছেমত সময়ে পডকাস্ট শুনতে পারে। যেমন আমি প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ইবুক পড়ি বা পডকাস্ট শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ি, এমনকি অফিসে যাবার সময়েও।

সুতরাং, আপনি যদি পডকাস্টে ভালো করতে চান তাহলে আপনার নিশের ইন্টারেস্টিং টপিকের উপর পডকাস্ট তৈরি করতে হবে এবং সেগুলোকে এপিসোড বা পর্ব আকারে প্রকাশ করতে হবে নিয়মিত বিভিন্ন পডকাস্ট প্ল্যাটফর্মে।

আশাকরি, আপনি একজন পডকাস্টার হিসেবে নিজেকে এবং নিজের ব্রান্ড বা বিজনেসকে আগামি দিনে একটা লীডিং পজিশনে নিয়ে যেতে পারবেন।

৭। সামাজিক দায়িত্ববোধ

কমবেশি আমরা সবাই একটা জায়গায় এক এবং সেই জায়গাটি হচ্ছে সামাজিক দায়বদ্ধতা। আমরা যত খারাপ মানুষই হইনা কেন এই জায়গায় আমাদের ভীষণ সফট-কর্নার কাজ করে।

যেমন – আমরা এই পৃথিবীর জন্য বা আমাদের দেশের জন্য কিছু করতে চাই বা করতে পারলে অনেক ভালো লাগে।

এখন আপনি যদি আপনার ব্রান্ডকে এমন একটা কিছুর সাথে একাত্ত করতে পারেন, তাহলে আপনি এর মাধ্যমে আপনার ক্রেতাদের মনে জায়গা করে নিতে পারবেন।

উদাহরণস্বরূপ …

আমরা সবাই চাই যে আমাদের এই পৃথিবীটা সবুজে ভরে থাকুক। এখন আপনার ব্রান্ড যদি এই ন্যাচার বা সবুজকে তার সাথে একাত্ত করতে পারে তাহলে তা ক্রেতা আকৃষ্ট করবে এবং সেই সাথে আপনার ব্রান্ড ইমেজ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিবে।

সামাজিক দায়বদ্ধতা

এজন্য তেমন কিছুই করতে হবে না, জাস্ট আপনার সোশ্যাল কন্টেন্ট গুলোতে ছোট করে একটা স্লোগান এ্যাড করে, বা প্যাকেজিং এর প্রাধান্য দিয়ে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করার বিনিময়ে।

এছাড়াও মাঝে মাঝে বৃক্ষরোপণ কর্মসুচি বা পেপারের পরিবর্তে মানুষকে অনলাইনে নিউজ দেখার আহবান জানিয়ে কারণ, পেপার তৈরিতে কাঠ বা গাছের প্রয়োজন পরে।

এই ছোট কাজ গুলোর বিনিময়ে আপনি একই সাথে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি আপনার সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করার মাধ্যমে ইউজারদের মনে দাগ কাটতে পারবেন।

আর জানেনই তো, মানুষ জন্মগতভাবেই আবেগি। তাই একবার তার আবেগে জায়গা করে নিতে পারলে তারা আপনাকে বা আপনার ব্রান্ডকে দীর্ঘদিন মনে রাখবে।

আপনাকে তারা ভরসা করবে, যা আপনার ব্রান্ড বা বিজনেসের সফলতার জন্য ভীষণভাবে কার্যকরি।

শেষকথা …

আমি বিশ্বাস করি যে, উপরের বর্নিত কন্টেন্ট মার্কেটিং এর কৌশলগুলি আপনার উপেক্ষা করা একদমই উচিত হবে না যদি আপনি সফল হতে চান।

আমি আশাকরি এর মাধ্যমে আপনি আপনার ইউজারদের মাঝে প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন।

এখানে প্রত্যেকটি স্ট্রাটেজি পরীক্ষিত, তাই শুধু বর্তমানই নয় সামনে বছর গুলোতেও এই কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্রাটেজি অনেক কার্যকরি যদি আপনি পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে পারেন।

রিকমেন্ডেড রিডিংঃ আপনি যদি আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজিকে নেক্সট লেভেলে নিয়ে যেতে চান এবং অনলাইনে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনি আমার “ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম” গাইড পড়তে পারেন।

Reko Ashikur Rahman

Author

Reko Ashikur Rahman

Reko is a full-time blogger and affiliate marketer. Join Reko and 50k monthly readers on Imreko.com to learn how to start and develop your IT startup business. As a Head of Digital Marketing, Reko managed digital marketing teams for large IT companies.

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.