ব্লগিং করে অনলাইন ইনকাম-২ : কিভাবে কন্টেন্ট স্কেলিং করবেন?
প্রথম পর্বে আমরা ব্লগের জন্য কিভাবে নিশ নির্বাচন করতে হবে সেটা শিখেছি। এই পর্বে আমরা আলোচনা করবো কন্টেন্ট ক্রিয়েশনের পদ্ধতি নিয়ে।
আপনি যদি প্রথম পর্বটি না পড়ে থাকেন, তাহলে “এখানে ক্লিক করে” আগে পড়ে নিবেন। তাহলে এই পর্বের লেখার বিষয়বস্তু বুঝতে পারবেন।
কিভাবে কন্টেন্ট তৈরি করবেন?
আচ্ছা আমি যদি বলি যে, প্রথম ৩ মাস আপনার ব্লগের জন্য কিছু করতে হবে না, এমনকি একটা সিঙ্গেল ওয়ার্ডও লিখতে হবে না?
কেমন হবে যদি বলি যে কন্টেন্ট স্কেলিং এবং ব্লগিং থেকে ইনকাম, ব্লগিং এর অন্তর্ভুক্ত নয়?
কি হবে আপনাকে সবকিছু শেখানো হল ব্লগের গ্রোথ সম্পর্কে কিন্তু যদি আপনার ব্লগের লিমিটেশন থাকে?
মনে রাখবেন: আপনি শুধু একজন ব্লগার নন, আপনি একজন স্টার্ট-আপ বিজনেসের সিইও।
প্রথম ৩ মাস আপনার কন্টেন্টের ড্রাফটস এর উপর আপনার এনার্জি এবং ফোকাস ব্যয় করা উচিত নয়। আমি আপনাকে সেই একই পুরানো পরামর্শ দিবো না, যার বর্তমানে কোন কার্যকারিতা নেই।
আমি আপনাকে আপনার প্যাশন নিয়ে লিখতে, এডিটরিয়াল ক্যালেন্ডার ফলো করতে, লেখার অভ্যাস তৈরি করতে কিংবা ধারাবাহিকভাবে লিখে যাবার কোন পরামর্শ দেই না।
এর পরিবর্তে আপনার ব্লগটিকে কিভাবে স্টার্টআপের মত সামনে নিয়ে যাবেন এবং দ্রুত আপনার নিশে কিভাবে ক্রেডিবিলিটি তৈরি করবেন, সে সম্পর্কে পরামর্শ দেই।
এটি করার জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে আপনার ব্লগের কন্টেন্ট লেখার জন্য একজন রাইটারের সাহায্য নেয়া।
প্রতিটি ব্লগ পোস্ট নিজে লেখার পরিবর্তে আপনাকে একজন ফ্রিল্যান্স রাইটার খুঁজে বের করতে হবে, যে আপনার জন্য সকল কন্টেন্ট ক্রিয়েট করবে।
মনে আছে, একটু আগেই বলেছিলাম যে, আপনি একজন ব্লগার নন, একজন স্টার্ট-আপ বিজনেসের সিইও। এখন বুঝতে পারছেন যে, কেন এই কথা বলেছিলাম আপনাকে।
মার্কেটে প্রচুর লেখক আছে বর্তমানে আপনার ব্লগ পোস্ট লেখার জন্য। আর আপনি আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করবেন সেই কন্টেন্ট এডিটিং, পাবলিশিং এবং লিংক বিল্ডিং এর জন্য।
কারণ, আপনার মূল্যবান সময়কে সবচেয়ে গুরুত্তপুর্ন কাজের জন্য ব্যয় করতে হবে ৮০/২০ রুলসের মত, তাহলেই সফলতা আসবে।
বলুন তো কোথায় আমি এই বিষয়ের উপর কথা বলেছিলাম?
আমার “কোটিপতি হওয়ার উপায় – কেন একজন কোটিপতির মত চিন্তা করবেন?” পোস্টে।
যদি না পড়ে থাকেন তাহলে এখনি পড়ে নিন তাহলে সামনে অনেক সহজ হবে এই “অনলাইন প্যাসিভ ইনকাম সিস্টেম” কে বুঝতে।
সামগ্রিকভাবে, এই সিস্টেমটি ৫টি প্রধান ধাপে সম্পন্ন হয়ঃ
- আউটসোর্স
- আউটরিচ
- গেস্ট পোস্ট
- ব্যাকলিংকস
- পুনরাবৃত্তি
এই সিস্টেম ব্যবহার করলে দেখবেন এক বছরের মাথায় আপনি কয়েক হাজার ব্যাকলিংক পাবেন যা আপনার ডোমেইন অথরিটি ৫০+ এ নিয়ে যাবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, এর ফলে আপনি বিশাল পরিমান ট্র্যাফিক পাবেন আপনার ব্লগে যার মাধ্যমে অনেক বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি একজন শখের ব্লগার হন এবং আপনার প্যাশন নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখতে চান তাহলে এই মুহুর্তে আপনার থামা উচিত কারণ, এই সিস্টেমটি আপনার জন্য না।
কিন্তু আপনি যদি সমমনা ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হন, যিনি নিজেকে একজন স্টার্টআপ বিজনেসের সিইও এর মত ব্লগের গ্রোথ আনতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।
১। সম্পর্কই আপনার সফলতার ভিত্তি
আপনি আপনার নিশের অন্যান্য ব্লগার এবং ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে সম্পর্ক তৈরি শুরু করার আগে, আপনাকে মূল বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে হবে।
সেটি হচ্ছে, প্রথমে আপনার ব্লগে ভ্যালু এ্যাড করতে হবে এবং অন্য ব্লগারদের ভ্যালু দিতে হবে।
আপনি এই সম্পর্কে থেকে কি পাবেন (একটা গেস্ট পোস্ট এটাই তো মূল উদ্দেশ্য তাইনা) এমন সেলফিশের মত নিজের স্বার্থের ভাবনা ভেবে সম্পর্ক শুরু করতে যাবেন না।
প্রথমত, আপনি অন্য ব্লগারদের যে সুবিধাগুলি দেবেন তার উপর ফোকাস করতে হবে।
নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন:
আপনি এই সম্পর্কের জন্য কি কি ভ্যালু প্রদান করতে রাজী আছেন?
- আপনি গেস্ট পোস্ট করতে চান কারণ আপনার দক্ষতা ওই ব্লগের ভিজিটরদের আগ্রহের সাথে ম্যাচ করে জন্য?
- তাদের ব্লগে কি বর্তমানে তাদের এডিটেরিয়াল ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কন্টেন্ট এর প্রয়োজন আছে?
- আপনি কি শুধুমাত্র গেস্ট পোস্ট করতে চান তাদের কাছ থেকে লিঙ্ক বিল্ডিংয়ের সুবিধা নেয়ার জন্য?
- এমন কোন বিষয় আছে যাতে আপনি খুবই পারদর্শী কিন্তু সেই পোস্টটি তাদের ব্লগে বিদ্যমান নেই?
প্রথম ধাপটি হচ্ছে আপনার নিজের মূল্য বোঝা এবং আপনি কীভাবে তাদেরকে সাহায্য করতে পারবেন। নিচের তথ্যগুলি আপনার ইমেল আউটরিচের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কৌশল, তাই একটু ভালোভাবে বোঝার চেস্টা করবেন।
প্রথমত, টার্গেটেড সাইটের একটি লিস্ট তৈরি করুন।
যখন আপনি নিশ্চিত হবেন যে সত্যি আপনি অনেক ভ্যালু এ্যাড করতে পারবেন, তখন আপনার প্রথম কাজ হচ্ছে যে ব্লগ গুলোতে গেস্ট পোস্ট করতে চাচ্ছেন তার একটা তালিকা তৈরি করুন।
এই তালিকা তৈরি করার জন্য একটা মাইক্রোসফট এক্সেলশীট বা গুগোল স্প্রেডশীট নিয়ে তাতে ৫টি কলাম তৈরি করুন, যথাক্রমে – ওয়েবসাইট, নাম, ইমেল, স্ট্যাটাস, কমেন্টস ইত্যাদি।
এবার “Ahrefs” এসইও টুলস ব্যবহার করে টার্গেটেড ব্লগ সাইট গুলোর ডোমেইন অথরিটি (DA) বা ডোমেইন রেটিং (DR) এবং ওই সাইটের মান্থলি ভিজিটরের স্ট্যাটিস্টিকস বের করুন এবং আপনার শীটে লিস্ট করুন।
এক্ষেত্রে ডোমেইন অথোরিটি মিনিমাম ৩০ থেকে তার অধিক সাইট গুলোকে প্রাধান্য দিন।
কারণ DA যত বেশি হবে, তত আপনার সাইটের এসইও এর জন্য ভালো হবে, এরফলে আপনি দ্রুত গুগোলের টপ পজিশনে যেতে পারবেন।
আপনার সময় বাঁচানোর জন্য, আপনি এই লিংকে ভিজিট করতে পারেন (এখানে আপনি ১৫০+ হাই ডোমেইন অথোরিটি সাইটের লিস্ট পাবেন)।
অথবা, আপনি আমার থেকে লিংক বিল্ডিং লিস্ট (১৫০০০+ লিংক লিস্ট) মাত্র ১৫০০ টাকায় কিনতে পারবেন। যে লিস্টে আপনি ১০+ হাজার গেস্ট পোস্ট সাইট লিস্ট এবং ৫+ হাজার ফাউন্ডেশন ব্যাকলিংক আছে।
আমি মনে করি যে এটা লাভজনক হবে কারণ, এমন একটা লিস্ট তৈরি করতে আপনাকে কয়েক মাস কিংবা বছর ব্যয় করতে হবে, যা আপনি মাত্র ১৫০০ টাকায় কয়েক মিনিটে আপনার হাতে পেয়ে যাচ্ছেন।
এখন এই লিস্টকে আপনার নিশ এবং ডোমেইন অথোরিটি অনুযায়ী ফিল্টারিং করে আপনার শীটে এ্যাড করুন। দেখবেন খুবই অল্পও সময়ের মধ্যে আপনার নিশ অনুযায়ী একটা ফ্রেশ লিস্ট তৈরি হয়ে গেছে।
এখন সময়, প্রত্যেকটি সাইটের কন্ট্যাক পার্সনের সাথে যোগাযোগ করার সঠিক মাধ্যমটি বা ব্যাক্তিটিকে খুঁজে বের করা।
এজন্য আমরা লিংকডইন ব্যবহার করবো।
লিংকডইনে গিয়ে ওই ব্লগ বা সাইটের অসিফিয়াল পেজ খুঁজে বের করে, তারপর ও সেইসব ব্যাক্তিদের আমরা খুঁজবো যাকে কনভেন্স করতে পারলে আমরা গেস্ট পোস্ট পাবলিশ করতে পারবো।
এজন্য সবচেয়ে ভালো হয় যদি আমরা এসইও ম্যানেজার, কন্টেন্ট ম্যানেজার কিংবা এডিটরকে খুঁজে পাই।
এবার এইসব ব্যাক্তিদের সাথে আমরা লিংকডইনে কানেক্ট হব, তবে মনে রাখতে হবে যে এই ক্ষেত্রে 2nd কানেকশন হলে ভালো হয় 3rd কানেকশনের চেয়ে অর্থাৎ মিউচুয়াল কন্ট্যাক হলে বেশি ভালো হয়।
এজন্য খুব বেশি সময় নেবার দরকার নেই এবং কানেক্ট হওয়ার সময় বেশি মেসেজ লিখতে গিয়ে বা অতিরিক্ত মেসেজ পাঠাতে গিয়ে স্প্যামিং করা যাবে না।
ইতিমধ্যে আমরা লিংকডইনে কানেক্ট হয়ে গেছি এবার আমরা [Hunter.io] ব্যবহার করে ওই সাইটা স্ক্যান করবো ইমেইল এ্যাড্রেস খোজার জন্য।
যদি রাইট ইমেইল এ্যাড্রেস হান্টার.আইও খুঁজে না পায় তাহলে সে ইমেইল স্ট্রাকচার অনুযায়ী কিছু ইমেইল এ্যাড্রেস আপনাকে সাজেস্ট করবে।
এবার সেই ইমেইল এ্যাড্রেস গুলো আপনার জিমেইল ওপেন করে কম্পোজ সিলেক্ট করে যেখানে আমরা ইমেইল এ্যাড্রেস দিই মেইল পাঠানোর জন্য সেই ঘরে দিলেই বুঝতে পারবেন ইমেইলটা ভ্যালিড কিনা।
এবার এই কন্ট্যাক ইনফো আপনার এক্সেল শীটের নির্দিস্ট ঘরে বসান।
২। একই সাথে সম্পর্ক তৈরি ও আউটরিচ করুন
ব্লগার এবং ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে আমরা গেস্ট পোস্ট পাবলিশ করে মূল্যবান ব্যাকলিংক পেয়ে থাকি।
যখন আপনার হাতে ১০০ টির মত পটেনশিয়াল ব্লগার বা ইনফ্লুয়েন্সার এর কন্ট্যাক ইনফোর্মেশন সহ একটা লিস্ট তৈরি হয়ে যাবে।
তখন আপনাকে লিংকডইনে সম্পর্ক তৈরি করার পাশাপাশি ইমেইল আউটরিচ করা শুরু করতে হবে।
আপনি আপনার গেস্ট ব্লগিং স্ট্রাটেজি নিচের ইমেইল টেমপ্লেট ব্যবহার করে এফিশিয়েন্টলি ইমপ্লিমেন্ট করতে পারবেন সম্পর্ক তৈরি করার মাধ্যমে এবং সেই সাথে গেস্ট পোস্ট প্রোপোজাল দিতে পারবেন একই সময়ে।
নিচে একটি নমুনা টেমপ্লেট দেয়া হল, যা আমি পুর্বে ব্যবহার করেছি:
এটাই যথেষ্ট!
উপরের গেস্ট পোস্ট ইমেল টেমপ্লেটটির মাধ্যমে আপনি এখন সম্পর্ক তৈরি করা শুরু করবেন এবং ক্রমাগত আউটরিচ করার মাধ্যমে গেস্ট পোস্ট অপার্টুনিটি খুজে বের করবেন৷
আশাকরি উপরের ইমেইল টেমপ্লেটটি আপনার মূল্যবান সময় বাঁচাতে সাহায্য করবে।
এরপর যখনি কেউ রিপ্লে করবে আপনার ইমেইলে এবং গেস্ট পোস্ট প্রকাশে আগ্রহ প্রকাশ করবে। তখন যতদ্রুত সম্ভব নিশ বা টপিক রিলেটেড হাই-কোয়ালিটি কন্টেন্ট রেডি করে গেস্ট পোস্টটি পাবলিশ করতে হবে।
গেস্ট পোস্টিং এর জন্য টপিক আইডিয়া খুজে পাবার ৪টি টিপসঃ
টপিক পর্যালোচনা করুন
প্রথমে আপনি যে টপিকে গেস্ট পোস্ট করতে চাচ্ছেন, সেই টপিকে পুর্বেই কোন পোস্ট আছে কিনা চেক করতে হবে।
এজন্য একসাথে কয়েকটি টপিক আইডিয়া সিলেক্ট করে নিতে হবে। এরপর গুগোলে গিয়ে সার্চ করতে হবে “site:blog.com topic” লিখে।
এখন আপনি ওই টপিকে কোন পোস্ট আছে কিনা তা এক নিমিষেই দেখে নিতে পারবেন।
যদি থাকে তাহলে অন্য টপিকে আবার সার্চ করুন যতক্ষন না পর্যন্ত ফাকা টপিক খুজে পান।
এসইও ভ্যালু এ্যাড করুন
আপনি যে টপিকে পোস্ট করতে চাচ্ছেন এবং যে টার্গেটেড কিওয়ার্ডে কন্টেন্ট লিখতে চাচ্ছেন তাতে যেন এসইও ভ্যালু থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এজন্য আপনি “Ahrefs” গিয়ে ওই ব্লগ এ্যানালিসিস করে দেখুন যে, তারা কোন কোন অর্গানিক কিওয়ার্ড থেকে সবচেয়ে বেশি ভিজিটর পাচ্ছে।
এবং সেখানে গ্যাপ খুঁজে দেখার চেস্টা করুন, যদি গ্যাপ খুঁজে পান তাহলে তার উপর কন্টেন্ট তৈরি করুন আপনার কাংখিত গেস্ট পোস্ট পাবলিশ করার জন্য।
অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান
নিশ্চয় সিলেক্ট করা নিশে আপনার অভিজ্ঞতা আছে, এবার সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে খুবই ভালো মানের কন্টেন্ট তৈরি করুন।
যদি আপনি নিজে কন্টেন্ট তৈরি করার সময় না পান, তাহলে এক্সপার্ট রাইটার হায়ার করুন, যিনি আপনার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারবে এবং সে অনুযায়ী গেস্ট পোস্ট লিখতে পারবে।
যদি এমন ভালো রাইটার খুঁজে না পান, তাহলে “SEO Link Suite” থেকে হাই-কোয়ালিটি প্রোফেশনাল গেস্ট পোস্ট লেখাতে পারবেন।
মনে রাখবেন, এই গেস্ট পোস্ট পাবলিশ করার মাধ্যমে আপনি আপনার নিশে একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে নিজের প্রভাব বিস্তার করবেন। তাই সবসময় কোয়ালিটি কন্টেন্ট পোস্ট করবেন।
অডিয়েন্সের আগ্রহকে প্রাধান্য দিন
অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন, যেন আপনার কন্টেন্টে অডিয়েন্সের আগ্রহকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করা হয়।
এজন্য ওই ব্লগের পুর্বের প্রকাশিত ব্লগ পোস্ট গুলোর প্যাটার্ন বোঝার চেস্টা করুন। লেখার টোন বুঝে আপনার কন্টেন্ট তৈরি করুন।
আর হ্যা, তাদের এডিটোরিয়াল গাইডলাইন ফলো করতে ভুলবেন না। কারণ, আপনার কন্টেন্ট যদি তাদের গাইডলাইন অনুযায়ী না হয় তাহলে কিন্তু তারা পাবলিশ করবে না।
মনে রাখবেন, আপনি ঠিক তখনই সফল যখন আপনার গেস্ট পোস্টের কন্টেন্ট তারা এ্যাক্সেপ্ট করবে। আমি আশাকরি, এখন আপনি এই ফর্মুলা ফলো করে একের পর এক কোয়ালিটি গেস্ট পোস্ট পাবলিশ করতে পারবেন।
৩। গেস্ট ব্লগিং এর গুরুত্ব
আপনি যদি আপনার টার্গেটেড কিওয়ার্ডে গুগোলের টপ পজিশন পেতে চান তাহলে গেস্ট পোস্টের বিকল্প নেই। কারণ, হাই ডোমেইন অথোরিটি সাইটে গেস্ট পোস্টিং ব্লগিং এসইও কে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে।
৬৫% ডিজিটাল মার্কেটারের মতে, লিঙ্ক বিল্ডিং হচ্ছে এসইও এর সবচেয়ে কঠিন পার্ট, কিন্তু এটি সবচেয়ে ফলপ্রসূও।
এই কারণেই আমি মিনিমাম ৫টি “পিলার ব্লগ পোস্ট” সহ ব্লগিং শুরু করার পরামর্শ দিই। যেগুলো অনেক লং-পোস্ট হবে এবং এসইও অপ্টিমাইজ করতে হবে ইনবাউন্ড লিংকের জন্য।
ইনবাউন্ড লিংকিং সহজ করার জন্য বিভিন্ন স্ট্যাটিস্টিক্স, ইনফোগ্রাফিক্স এবং কেস স্টাডি এ্যাড করতে পারেন।
আমি আজও আমার ব্লগের পাবলিশ করা প্রতিটি পোস্টের জন্য মিনিমাম ২/৩টি গেস্ট পোস্ট নিয়ে থাকে অন্যের ব্লগে কন্ট্রিবিউট করে।
যদিও এখন আমি পেইড গেস্ট পোস্টকে বেশি প্রাধান্য দেই, কারণ এরফলে অল্প সময়ে আমি গেস্ট পোস্ট পাই আমার ব্লগের জন্য।
মনে রাখবেন, আপনি যখন প্রথম শিখবেন যে কিভাবে ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম করতে হয়, তখন বেশি ফোকাস করবেন আপনার ব্লগিং বিজনেসকে গ্রো করার উপর এবং রিলেশন তৈরি করবেন অনান্য ব্লগারদের সাথে।
ট্রাই করবেন কন্টেন্ট আউটসোর্স করার কারণ, যদি রাইটিং এ ফোকাস করেন তাহলে আপনার বিজনেসের গ্রোথ আটকে যাবে এবং পুরো প্রোসেস অনেক বেশি দীর্ঘ হয়ে যাবে।
যাইহোক, আপনার গেস্ট পোস্টের কন্টেন্ট কোয়ালিটি অনেক গুরত্তপুর্ণ রোল প্লে করবে তাই এবিষয়ে কোন ছাড় দিবেন না।
এজন্য হেডিংস এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি ইমেজ, টেক্সট ছোট ছোট প্যারা আকারে লিখবেন এবং লিংকের যথাযত ব্যবহার করবেন।
সুতরাং, গেস্ট পোস্টিং গাইডলাইন সঠিকভাবে ফলো করে কন্টেন্ট তৈরি করার পাশাপাশি “গ্র্যামারলি টুলস” দ্বারা গ্র্যামেটিক্যাল ভুল সমূহ ফিক্স করে নিবেন।
এরপর “SmallSEOTools” বা “Dupli Checker” ব্যবহার করে আপনার কন্টেন্টে কোন কপি আছে কিনা তা চেক করে নিন (ভালো হয়, পাবলিশ করার পর আরো একবার “Copyscape” দ্বারা চেক করে নেয়া)।
আশাকরি, এভাবে আপনি গেস্ট পোস্ট পাবলিশ করার জন্য একটি হাই-কোয়ালিটি কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন।
Related Posts
Comments (2)
Leave a comment Cancel reply
This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.
Md. Suja Uddin Mia
December 13, 2022Well done! Very much practical writings.Thanks.
Reko Ashikur Rahman
December 22, 2022ধন্যবাদ, আপনাকে। সবসময় পাশে থাকবেন আশাকরি অনেক ভালো কিছু শেখাতে পারবো আমার দীর্ঘ ক্যারিয়ারের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে।