ডিজিটাল মার্কেটিং

একজন সফল ডিজিটাল
মার্কেটার হতে চান!

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ডিভাইস এর ব্যবহার করে কোন ব্যবসা বা পণ্যের প্রচার করাকে মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়। সরল ভাসায় বললে অনলাইন এর মাধ্যমে ব্যবসার প্রচার করাই ডিজিটাল মার্কেটিং।

কেন ডিজিটাল মার্কেটিং এ ক্যারিয়ার গড়বেন?

বর্তমানে সবক্ষেত্রেই ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে ডিজিটাল প্রযুক্তির সাথে সাথে। আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে ব্যবসা ক্ষেত্রেও এই পরিবর্তন সহজেই চোখে পড়ে।

বর্তমানে আমরা যেকোন পণ্য অনলাইনে কিনতে বেশি কমফোর্ট ফিল করি, শুধু তাই না - এখন যেকোন সার্ভিস বা পণ্য কেনার পূর্বে আমরা সেই পণ্য যাচাই-বাছাই করি বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে।

কারণ, বর্তমানে আমরা সবাই অনেক ব্যস্ত লাইফ-লীড করি। তাই মার্কেটে গিয়ে পণ্য কেনার মত এত সময় আমাদের হাতে নেই। এছাড়া অনলাইনে এখন যেকোন সার্ভিস বা পণ্য কেনা খুবই সহজ।

আর এসব কিছুই সম্ভব হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে। এখন যেকোনো বিজনেস তার সার্ভিস বা পণ্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে মানুষের দোড়-গোড়ায় প্রচার করছে অনলাইন মাধ্যম গুলোর মাধ্যমে। এর ফলে আমাদের জীবন এখন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। আমরা এখন ঘরে বসেই অনলাইনে অর্ডার করেই ডেলিভারি পেয়ে যাচ্ছি আমাদের ঠিকানায়।

তাই, এক কথায় বলা যায় যে বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিকল্প নেই। এর সাহায্যে বর্তমানে ছোট-বড় সব বিজনেস তার টার্গেটেড ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে পারছে। যার জন্য বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটারের অনেক বেশি ডিমান্ড এবং নিকট ভবিষ্যতে তা আরও অনেক গুণ বেড়ে যাবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন?
বর্তমানে আমরা ইন্টারনেট নির্ভর ডিজিটাল যুগে বাস করছি। বিশ্ব এ্যানালগ যুগ থেকে ডিজিটাল যুগে প্রবেশের পর থেকেই বিশ্ব ও এর বাজার ব্যবস্থাও পরিবর্তিত হয়ে গেছে। আমার তো মনে হয়, আর কিছুদিন পর আমরা কেনাকাটার জন্য দোকান বা মার্কেটে যাওয়াই বন্ধ করে দিবো।

কারণ, বর্তমানে মানুষের অনলাইনে কেনাকাটার অতিরিক্ত আগ্রহ দেখেই তা অনুধাবন করা যায়। আর কেনই বা আগ্রহ বাড়বে না... জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের জীবনমান ক্রমেই কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে।

এক গাদা টাকা খরচ করে শহুরে জ্যাম ঠেলে গিয়ে প্রচন্ড ভীড়ের মধ্যে কেনাকাটা অনেক বিরক্তিকর বিষয়। এর ফলে অনেক সময় ও টাকা যেমন নষ্ট হয়, তেমনি আমাদের শারীরিক ও মানুষিক অনেক চাপ তৈরি করে এবং এক কথায় আমাদের ক্লান্ত করে দেয়।

কিন্তু অনলাইনে খুব সহজেই আমরা আমাদের কাংখিত সেবা বা পণ্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট এ যাচাই-বাছাই করে এক নিমিষেই অর্ডার করতে পারি কোন ঝামেলা ছাড়াই এবং সেই সাথে সেই কাংখিত পণ্য ডেলিভারি পাই ঘরে বসেই।

আর বর্তমানের এই অনলাইন নির্ভর বিশ্ব বাজার-ব্যবস্থার মূল নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে ডিজিটাল মার্কেটিং। কারণ, টার্গেটেড ক্রেতার নিকট কাংখিত পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন প্রচার বা পৌঁছে দেয়া শুধুমাত্র ডিজিটাল মার্কেটিং দ্বারাই সম্ভব।

তাই, আপনি যদি একজন অনলাইন বিজনেস ওনার বা এন্ট্রারপ্রেনার হন এবং নিজের অনলাইন মার্কেটিং এ দক্ষতা না বাড়ান বা একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার নিয়োগ না দেন তাহলে বর্তমানের এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকা অসম্ভব ব্যাপার আপনার জন্য।

প্রফেশনালদের নেটওয়ার্কিং সাইট লিংকডইন এর তথ্য মতে, "ডিজিটাল মার্কেটিং" এর জব বর্তমানে সেরা ১০টি জবের একটি এবং তাদের প্ল্যাটফর্মে বর্তমানে "ডিজিটাল মার্কেটিং স্পেশালিস্ট" পদে ১১,৪০,৫৮০ টি জবের সার্কুলার রয়েছে। এছাড়াও, শুধুমাত্র আমেরিকায় মেট্রো এরিয়াতে ২৫০,০০০+ এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটারের অভাব রয়েছে। - তথ্যসূত্র, লিংকডইন.কম

শুধু দেশের বাহিরে না, বর্তমানে আমাদের দেশীয় কোম্পানিগুলো তাদের প্রয়োজনে ইন-হাউজ ডিজিটাল মার্কেটিং টীম বা ডিপার্ট্মেন্ট খুলছে কারণ, এছাড়া তারা মার্কেটে অনেক পিছিয়ে পড়বে। লিংকডইন বা বিডিজবস এ আপনি ঢুকলেই বুঝতে পারবেন প্রচুর জবের সুযোগ আছে এই পেশায়।

এছাড়াও যদি আপনার জব ভালো না লাগে সেক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে মার্কেটপ্লেসে কাজের সুযোগ বা একজন ডিজিটাল এন্ট্রাপ্রেনার হিসেবে নিজের অনলাইন বিজনেস করার সুযোগ রয়েছে। শুধু প্রয়োজন নিজেকে একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে তৈরি করা।
কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এ ক্যারিয়ার গড়বেন ?

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এ আপনার ক্যারিয়ার গড়বেন মনস্থির করে থাকেন তাহলে আমার এই ব্লগটি আপনাকে অনেক হেল্প করবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর এ্যাডভান্স টেকনিক গুলো শিখতে। কারণ, এই ব্লগে আমি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে আমার দীর্ঘ ১২ বছরের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।

তবে, আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে সবচেয়ে ভালো পদ্ধতিটি হচ্ছে - কোন প্রতিষ্ঠিত ডিজিটাল মার্কেটারের কাছ থেকে বা নামকরা প্রতিষ্ঠান থেকে কমপ্লিট ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর একটি কোর্স করে নেয়া।

কারণ, এর মাধ্যমে আপনি স্টেপ-বাই-স্টেপ প্রতিটি বিসয় শিখতে পারবেন। এলোমেলো লার্নিং এর ফলে আপনি মার্কেটে ভালো করতে পারবেন না। মার্কেটে ভালো অবস্থান তৈরি করতে চাইলে কমপ্লিট ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার বিকল্প নেই।

এক্ষেত্রে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে ৩০০/৫০০ টাকা মূল্যের কোর্স বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর নামে শুধুমাত্র ফেসবুক মার্কেটিং এর কোর্স করে আপনার কমপ্লিট লার্নিং হবে না।

যদিও আপনি বিভিন্ন ব্লগ (আমার এই ব্লগটির মত), ফ্রি ইউটিউব ভিডিও টিউটেরিয়াল ও অন্যান্য সোর্স থেকে অনেক রিসোর্স পাবেন। যা স্ট্যাডি করে আপনি অনেক কিছুই শিখতে পারবেন কিন্তু যদি প্রোফেশনাল লেভেলের ডিজিটাল মার্কেটার হতে চান, তাহলে একজন দক্ষ মেন্টরের কাছ থেকে কমপ্লিট ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার বিকল্প নেই।

এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, যে মেন্টরের কাছ থেকে শিখছেন তার প্র্যাক্টিক্যাল এক্সপেরিয়ান্স কত বছরের। কারণ, এক্সপেরিয়ান্স ম্যাটার করে যদি আপনি রিয়েল টাইম ওয়ার্কিং এর সময় যে সমস্যাগুলো ফেস করবেন তার সল্যুশন কিভাবে করতে হবে তাও শিখতে পারবেন।

Experienced Digital Marketer Reko

ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট থেকে

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখুন

নিচের ব্লগ পোস্টে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই ব্লগে আমি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে আমার দীর্ঘ ১২ বছরের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। আপনি যদি পোস্ট সমূহ মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে, ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বিশদ জানতে পারবেন এবং এই জ্ঞান ব্যবহার করে সফল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ্‌।

বিস্তারিত ...

ডিজিটাল মার্কেটিং
ক্যারিয়ার গাইডলাইন!

ক্যারিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং…

আপনি জানেন কি - প্রফেশনালদের নেটওয়ার্কিং সাইট লিংকডিন এর তথ্য মতে "ডিজিটাল মার্কেটিং" বর্তমানের সেরা ১০টি ডিমান্ডেবল জবের মধ্যে অন্যতম একটি।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর পরিধি

বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যতম পরিচিত একটি অধ্যায় যেটি আপনি নিশ্চই অনেক আগে থেকে শুনে এসেছেন। বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।

প্রযুক্তির বিকশিত প্রতিযোগিতা মূলক এই যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে যদি আপনার ধারনা না থাকে তাহলে আপনাকে প্রতিটি পদক্ষেপে পিছিয়ে যেতে হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর অল্প কিছু ক্ষেত্র সম্পর্কে আমরা জানলেও এর পরিসর ব্যাপক। এতো বড়ো পরিসরের মতো একটি ক্ষেত্রে আপনাকে উন্নতি করতে হলে অবশ্যই কিছু ক্ষেত্রে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্ট নিচে দেয়া হলো …

  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
  • সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • পেইড এ্যাডভার্টাইজমেন্ট
  • মোবাইল মার্কেটিং
  • এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • ইকমার্স মার্কেটিং
  • মিডিয়া বাইং
  • এ্যাপ মার্কেটিং ইত্যাদি
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বর্তমান

ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নয়ন, অনলাইন বিজনেসের জন্য বিরাট সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট গুলো গ্রাহকদের এ্যাট্রাক্ট করার সবচেয়ে সেরা মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে।

এছাড়াও বর্তমানের ডাটা-ড্রিভেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর বদৌলতে ডাটা রিসার্স করে কাস্টোমারকে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করা যাচ্ছে, এর ফলে কে কোন পণ্য দেখছে, কে কিনতে চায় তা সহজে বের করে সেই কাস্টোমারে কাছে রি-টার্গেটিং মার্কেটিং করে ভালো সেলস জেনারেইট করা যাচ্ছে।

এসইও এর প্রয়োগ করে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ফ্রিতে টার্গেটেড ট্র্যাফিকে ওয়েবসাইট এ ড্রাইভ করে তাদের কাছে পণ্য বা সেবা বিক্রয় করা যাচ্ছে এবং এসব কিছুই সম্ভব হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বদৌলতে। যার মাধ্যমে খুবই সহজে বিজনেস কে প্রচার ও প্রসার করা যাচ্ছে।

এক যুগ আগেও পণ্যের প্রচার বা মার্কেটিং ছিল অনেক কঠিন কাজ এবং সেটা ছোট বিজনেসের জন্য। কারণ, পূর্বের ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর জন্য অনেক বেশি মার্কেটিং কস্ট বহন করতে হত, যা ছোট কোম্পানি গুলোর পক্ষে সম্ভবপর ছিল না।

কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর ফলে এখন ছোট-বড় প্রায় সব কোম্পানির জন্য অল্প খরচে টার্গেটেড ট্রাফিকের কাছে পৌঁছানো সহজতর হয়েছে।

এর পাশাপাশি বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক হয়ে গেছে। সো, যারা ভীষণ দক্ষতার সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবে তারা মার্কেটে খুবই ভালোভাবে ঠিকে থাকতে পারবে। এজন্য হয় আপনার নিজেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এ দক্ষ হতে হবে বা খুবই দক্ষ একজন ডিজিটাল মার্কেটার নিয়োগ দিতে হবে।

২০২২ থেকে নেক্সট বছরগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য খুবই ভালো সময়। কারণ, সারা দুনিয়ার ব্যবসায়ীরা ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর দ্বারস্থ হবে। তাই, এখনি সময় নিজেকে একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে তৈরি করার।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব

বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অনেক বেশি। তবে এর মধ্যে কিছু সংখ্যক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিচে উল্লেখ করা হলো :

  1. বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি শক্তিশালী মার্কেটিং কৌশল যার মাধ্যমে কোনো কোম্পানির প্রোডাক্ট'স বা ব্রান্ডকে প্রমোট করা হয়।

  2. এটি ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর তুলনায় অনেক বেশি সহজ ও তুলনা মূলক ব্যয় কম।

  3. আপনি ঘরে বসেই হাজার হাজার মানুষের কাছে আপনার পণ্যের প্রচার করতে পারবেন।

  4. খুব সহজেই আপনার টার্গেট অডিয়েন্স খুঁজে বের করতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে।

  5. খুব সহজেই গ্রাহকের মনের মধ্যে আপনার পণ্যের ছাপ এঁকে দিতে পারবেন।

  6. ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যবসার গতি-প্রকৃতি খুব সহজে বোঝা যায়।

  7. ডিজিটাল মার্কেটিং এর কারণে কম জন শক্তি প্রয়োগ করে আপনি কাঙ্খিত ফলাফল পেতে পারেন।

বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক মার্কেটে নিজেকে এগিয়ে নিতে এবং আপনার ব্যবসাকে সম্প্রসার করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিজেকে টিকিয়ে রাখতে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার বিকল্প কিছু হতে পারে না।

বর্তমান বিশ্বে ৪০০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৩০০ কোটির বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। অর্থাৎ তারা কোনো না কোনো ভাবে ডিজিটাল প্লাটফর্ম এর সাথে যুক্ত। তাই আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারেন তাহলে নিশ্চই বুঝতে পারছেন আপনার কাজের ক্ষেত্র কতটা বড়ো হতে পারে।

তাই পরিশেষে বলা যায়, ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয়ের উৎস এত বেশি যে, এটি শিখে আপনাকে কখনো বেকার হয়ে বসে থাকতে হবে না। আমাদের দেশে বেকার সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে তাই আপনি নিজের এবং অন্যদের কর্মসংস্থান তৈরিতে সহায়তা করতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর বদৌলতে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং

বর্তমানে সবাই অফলাইনের পরিবর্তে অনলাইনে বিজনেস করাকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। আর অনলাইনে বিজনেস করতে চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিকল্প নেই।

তাই এখনি নিজেকে তৈরি করার বেস্ট সময় একজন কমপ্লিট ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে, যদি আপনি এই সেক্টরে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান।

নিজেকে যদি একজন দক্ষ অনলাইন মার্কেটার হিসেবে তৈরি করতে পারেন তাহলে সত্যি বলছি আপনার কাজের অভাব কখনই হবে না। জবের পাশাপাশি বা ফুল-টাইম ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ওয়ার্ল্ড ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারেবন।

ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করার জন্য নামকরা মার্কেটপ্লেস গুলো হচ্ছে ...

  • Freelancer.com
  • Upwork.com
  • Fivver.com
  • PeoplePerHour.com

এই ওয়েবসাইট গুলোতে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য প্রচুর কাজ পাবেন। তবে এর জন্য আগে নিজেকে একজন কমপ্লিট ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে তৈরি করতে হবে।

এরপর এই ওয়েবসাইট গুলোতে নিজের প্রোফাইল তৈরি করে নিয়ম অনুযায়ী কাজের আবেদন করা শুরু করলে দেখবেন খুবই দ্রুত কাজ পেয়ে যাবেন।

এই সাইট গুলো থেকে আপনি ঘরে বসেই লাখ লাখ টাকা উপার্জন করতে পারবেন আপনার দক্ষতা দিয়ে।

ডিজিটাল মার্কেটিং জব

ডিজিটাল মার্কেটিং যেকোনো ব্যবসার একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ অংশ। বর্তমানে বাংলাদেশ এর প্রায় সব কোম্পানি তাদের ব্যবসাকে প্রচার এবং প্রসারের উদ্দেশ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সহায়তা নিয়ে থাকে।

মার্কেটিং এর এই ক্যাম্পেইন্স গুলো পরিচালনার জন্য কোম্পানিগুলো লক্ষ লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করে থাকে। এই ক্যাম্পেইন্স গুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করে কোম্পনীকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার নিয়োগ দিয়ে থাকে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে মাথায় রেখে বর্তমানে প্রায় সব কোম্পানি ডিজিটাল মার্কেটিং টিম নিয়োগ দিয়ে থাকে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর যেহেতু অনেক গুলো শাখা রয়েছে তাই আপনি এর বিভিন্ন স্কিলগুলো শিখে এই কোম্পনি গুলো তে যোগদান করে নিজের ক্যারিয়ার কে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। আপনার যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে খুব ভালো স্যালারি তে কাজ করতে পারেন।

বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশ গুলো আমাদের উপমহাদেশ থেকে অনেক কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। ফলস্বরূপ, আপনি ঘরে বসেই অনলাইন এ তাদের সাথে কাজ করতে পারবেন। বর্তমানে এটি অনেকের কাছেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ঘরে বসেই তুলনা মূলকভাবে বেশি পারিশ্রমিক এ আপনি তাদের একটি অংশ হয়ে উঠতে পারেন।

একজন ডিজিটাল মার্কেটারের স্যালারি কত?

যদিও একজন ডিজিটাল মার্কেটার কত স্যালারি পাবেন এটা নির্ভর করে তার এক্সপেরিয়ান্স এবং কোম্পানির আকার ও ধরণের উপর।

তারপরও আমি আমার দীর্ঘ ১২ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে ডিজিটাল মার্কেটারের স্যালারি ব্রেক-ডাউন দেয়ার চেস্টা করছি...

  • ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্টার্ন – ৳ ৭ থেকে ১০ হাজার (কোর্স সম্পন্ন)
  • ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ – ৳ ১৫ থেকে ২৫ হাজার (অভিজ্ঞতাঃ ১/২ বছর)
  • সিনিয়র ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ – ৳ ২৫ থেকে ৩৫ হাজার (অভিজ্ঞতাঃ ৩/৪ বছর)
  • ডিজিটাল মার্কেটিং স্পেশালিষ্ট – ৳ ৩৫ থেকে ৭০ হাজার (অভিজ্ঞতাঃ ৫/৬ বছর)
  • ডিজিটাল মার্কেটিং ম্যানেজার – ৳ ৭০ থেকে ১৫০,০০০ হাজার (অভিজ্ঞতাঃ ৮/১০ বছর)
  • হেড অফ ডিজিটাল মার্কেটিং – ৳ ১ লাখ থেকে ২৫০,০০০ হাজার (অভিজ্ঞতাঃ ১০+ বছর)
  • ফ্রিল্যান্সার হিসেবেঃ প্রতি ঘন্টা ১০-১০০ ডলার (প্রোফাইলের উপর নির্ভর করে)
  • বাহিরের দেশেঃ একজন ডিজিটাল মার্কেটার প্রতি বছর ৬৫,০০০ – ১২০,০০০ ডলার স্যালারি পেয়ে থাকে।

সত্যি বলতে অনেক সুযোগ আছে এই সেক্টরে, যা আগামী বছর গুলোতে ব্যাপকভাবে বাড়বে। কারণ, প্রতিটি ব্যাবসার ডিজিটাল প্রেজেন্স তৈরি করার কোন বিকল্প নেই।

আর অনলাইনে বিজনেস করতে আসলেই ডিজিটাল মার্কেটিং অপরিহার্য, তাই প্রতিটি অনলাইন বিজনেসের জন্য মিনিমান একজন করে হলেও দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার প্রয়োজন।

 
ডিজিটাল মার্কেটিং কি আপনার জন্য উপযুক্ত?

বর্তমানের ডিজিটাল মার্কেটিং কে বলা হয় ডাটা-ড্রিভেন ডিজিটাল মার্কেটিং। তাই যদি আপনার ডাটা নিয়ে কাজ করতে ভালো লাগে এবং সবসময় টেকনোলিজির সাথে আপডেট থাকতে পছন্দ করেন ও চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন। তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার জন্য।

কারণ, ব্যাপক সম্ভবনার পাশাপাশি ভীষণ রকমের চ্যালেঞ্জিং পেশা এটি। সবসময় লেটেস্ট টেকনোলজির সাথে নিজেকে এ্যাডজাস্ট করতে হয়, যার জন্য প্রচুর স্ট্যাডি করতে হয়।

এর পাশাপাশি এ্যানালাইসিস ও টেস্টিং মেন্টালিটি থাকতে, ইউজারদের সাইকোলজি খুবই ভালোভাবে বুঝতে হয় এবং সবশেষে ভীষণ রকমের ক্রিয়েটিভ হতে হয়।

কেন কমপ্লিট ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন ...

কারণ, কমপ্লিট ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারলে জব বা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনার ডিমান্ড তৈরি করতে পারবেন, এজন্য নিচের ৭টি পার্ট আপনাকে ভালোভাবে শিখতে হবে।

পার্ট-1: সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেটি খুব সহজে আমাদের কাংখিত ফলাফল আমাদের সামনে নিয়ে আসে।

যেকোন একটি বিষয়ে গুগলে অনেক তথ্য বিদ্যমান থাকে ,কিন্তু গ্রাহক কোনো কিছু লিখে সার্চ করলে সে যেন খুব সহজে আপনার অনলাইন প্লাটফর্মটি খুঁজে পায় সেজন্য যে কৌশল অবলম্বন করতে হয় সেটি ই মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)।

আমাদের বিজনেস এর অ্যাপস বা ওয়েবসাইটগুলোকে গ্রাহককের কাছে খুব সহজে প্রদর্শন করার প্রক্রিয়াটি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে করা হয়।

উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি একটি পণ্য কিনতে চান, তাহলে আমরা গুগল এ সার্চ করলে ওই পণ্যটির নামটি লিখে থাকি। গুগল তখন ওই পণ্যটির জন্য ১০ টি ওয়েবসাইট এর রেজাল্ট দেখাবে।

এখন যদি আপনি ওই পণ্যটির জন্য আপনার ওয়েবসাইট কে এসইও অপ্টিমাইজ করে থাকেন তাহলে এটি আপনার ওয়েবসাইট টিকে গ্রাহকের সামনে নিয়ে আসবে।

SEO তিন ধরণের হয়ে থাকে :

  1. White Hat SEO

  2. Gray Hat SEO

  3. black Hat SEO

লিংক বিল্ডিং এর উপর নির্ভর করে এসইও (SEO) কে দুই ভাগে ভাগ করা যায় :

  • অন পেজ এসইও: ওয়েবসাইট এর ভিতরে যে কাজ গুলো করা হয়, তাকে টেকনিক্যাল এসইও বা অন পেইজ এসইও বলে।

  • অফ পেজ: যেকোনো ওয়েবসাইটকে র‍্যাংক করার জন্য বিভিন্ন ধরণের লিংক-বিল্ডিং করাই হচ্ছে অফ পেইজ এসইও। অফ পেইজ এসইও তে ওয়েবসাইট এর বাহিরে কাজ করতে হয়।

পার্ট-2: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

আমরা ইতিমধ্যে কিছুটা ধারণা পেয়েছি যে, বর্তমান যুগে মার্কেটিং এর সবথেকে বড়ো প্লাটফর্ম হলো অনলাইন প্লাটফর্ম বা ইন্টারনেট এর জগৎ। ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব থেকে বড়ো প্লাটফর্ম হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া।

সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমরা বুঝি, সোশ্যাল প্লাটফর্ম যেমন: Facebook, Instagram, Twitter, LinkedIn, Pinterest, YouTube, Snapchat ইত্যাদি ব্যবহার করে সকলের সাথে কানেক্টেড থাকা। আর এসব প্লাটফর্ম এ আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন অর্থাৎ কনটেন্ট পাব্লিশ করে ক্রেতা আকৃষ্ট করাকেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা SMM বলে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ...

  • ৭৭% সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটাররা বলছেন যে বর্তমানে তাদের কোম্পানির জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অনেক কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।

  • শর্ট-ফর্ম ভিডিও হল শীর্ষ সোশ্যাল মিডিয়ার একটি অংশ যা ৫৪% সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও লাইভ স্ট্রিমিং, পডকাস্ট ইত্যাদিও বেশ ভালো ভূমিকা রাখছে।

  • 80% বিপণনকারী মত দিয়েছেন যে মজার বিষয়বস্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর।

  • 68% বিপণনকারী সংস্থাগুলি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফুল্যেন্সার এর সাথে কাজ করে।

  • 84% বিপণনকারী তাদের সোশ্যাল মিডিয়া কৌশলের অংশ হিসাবে মিলিয়ন ফলোয়ার সম্পন্নদের কে টার্গেট করে।

উপরের তথ্যের আলোকে বোঝা যায় যে, আমাদের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর উপর আমরা কতটা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি।

পার্ট-3: সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন মূলত কি এ বিষয়ে কিছুটা হলেও ধারনা আমরা পেয়েছি। মূলত আপনার ওয়েবসাইট কে প্রথম পাতায় নিয়ে আসতে এবং ওয়েবসাইট কে র‍্যাংক করাতে আমরা এসইও ব্যবহার করি।

এখন তাহলে আসুন সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বিষয়টি কি এটার সম্পর্কে জানি। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ডলার পে করে আপনার ওয়েবসাইট টিকে সার্চ ইঞ্জিন এর প্রথম পাতায় নিয়ে আসা হয়।

একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন, আপনি সার্চ করার পর প্রথম পাতায়, সেখানে প্রথম ২/৩ টি ওয়েবসাইট এর প্রথমে AD লেখা থাকে, এটি মূলত পেইড বিজ্ঞাপনের কারণেই হয়ে থাকে।

অর্থাৎ আমরা বলতে পারি, পেইড প্রমোশন এর মাধ্যমে কোনো ওয়েবসাইট কে রেঙ্ক এ নিয়ে আসাকেই সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বলে।

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে:

  1. Cost Per Click (CPC): এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যখন আপনার ভিজিটর আপনার এডভার্টাইজ এ ক্লিক করবে, তখন আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ পে করতে হবে।

  2. Cost Per Action (CPA): Cost Per Action হচ্ছে একধরণের এডভার্টাইজিং মেথড যার মাধ্যমে আপনার নির্দিস্ট করে দেয়া এ্যাকশনের জন্য আপনি পেমেন্ট করবেন। যেমন, শুধু আপনার পন্য বিক্রয়ই নয়, এর পাশাপাশি ইমেইল সাবমিট বা ডাউনলোড ইত্যাদি এক একটি এ্যাকশন।

  3. Cost Per View (CPV): সাধারণত কোনো বিজ্ঞাপন টার্গেটেট ভিজিটর কতবার ভিউ করেছে এর উপর নির্ভর করে একটি নির্দিষ্ট পরিমান চার্জ করা হয়, এই প্রক্রিয়াকে Cost Per View বলে। ই-কমার্স মার্কেটার তাদের নির্ধারিত ক্লায়েন্টদের প্রলুব্ধ করার জন্য Cost Per View কে বেছে নেয়।

  4. Display Advertising: আমরা যখন কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করি, তখন ওয়েবসাইট এর বিভিন্ন দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় অনেক ধরণের ব্যানার বা বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হচ্ছে, এটিকে Display Advertising বলে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হতে চান তাহলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো আপনাকে খুবই ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে।

পার্ট-4: কনটেন্ট মার্কেটিং

কনটেন্ট মার্কেটিং হল ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান কার্যকরী মাধ্যম। কনটেন্ট কে মার্কেটিং এর সবথেকে শক্তিশালী উপাদান বলা হয়। তাই কনটেন্ট মূলত কি এই বিষয়টি আমাদের জানা খুবই প্রয়োজনীয়।

সাধারণত ব্লগ পোস্ট, ইমেজ বা ভিডিও অর্থাৎ ভিজিটর এর মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য অনলাইন প্লাটফর্ম এ কোনো কিছু কে প্রদর্শিত করাটাই হলো কনটেন্ট। আর কোনো কনটেন্ট কে ডিজিটাল উপায়ে মার্কেটিং করাকেই কন্টেন্ট মার্কেটিং বলে।

অনলাইন এ প্রদর্শিত জনপ্রিয় কয়েকটি কন্টেন্ট সম্পর্কে নিচে ধারণা দেয়া হলো :

  • ব্লগপোস্ট

  • ইমেজ

  • ভিডিও

  • ইনফোগ্রাফিক

ব্লগপোস্ট: ব্লগপোস্ট সম্পর্কে হয়তো আমাদের অনেকেরই ধারণা থাকতে পারে। সাধারণত আমরা ওয়েবসাইট এ যে পোস্ট বা লেখা গুলো দেখি সেগুলোকেই ব্লগপোস্ট বলে।

ইমেজ: ইমেজ বা ছবি সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই নিশ্চই। তবে আমাদের এটা জানতে হবে যে একটি ইমেজ অনেক কিছুর অর্থ বহন করে। অর্থাৎ অনেক লাইন এর ব্লগ পোস্ট আপনি কেবল একটি ইমেজ দিয়ে প্রকাশ করতে পারবেন। আপনার ব্যবসার ধরণ, আপনার প্রোডাক্টস, আপনার সার্ভিসের গুণগত মান অনেক কিছুই আপনার ইমেজ এর মাধ্যমে প্রকাশ পায়।

যেকোনো ইমেজ খুব সহজেই গ্রাহকের মনে ছাপ তৈরী করতে সক্ষম হয়। তাই কনটেন্ট মার্কেটিং এ ইমেজ খুব বড়ো একটি জায়গা দখল করে আছে।

ভিডিও: ভিজিটরকে আকৃষ্ট করার জন্য আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ধরণের ভিডিও তৈরী করি। ভিডিও গুলোতে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে সকল ধরণের তথ্য দেয়া থাকে যা খুব সহজেই ভিজিটর এর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। অনলাইন ব্যবসায়ীরা তাদের ভিডিও গুলোকে আকর্ষণীয় করতে 2D, 3D অথবা অ্যানিমেটেড বিভিন্ন ধরণের ভিডিও তৈরী করে থাকে।

ইনফোগ্রাফিক: বিষয় ভিত্তিক কোনো একটি জিনিসের উপর গ্রাফিক্যাল রিপ্রেজেন্ট কে ইনফোগ্রাফিক বলে। এটিও সাধারণত গ্রাহকের মনোযোগ আকর্ষণে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে।

পার্ট-5: ই-মেইল মার্কেটিং

ইমেইল মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি ক্ষেত্র। আপনার ব্যবসার প্রচার ও প্রচারণা যখন ইমেইল এর মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পাঠানো হয়, সেই প্রক্রিয়াকে ইমেইল মার্কেটিং বলে।

ইমেইল মার্কেটিং এ নির্দিষ্ট আর্টিকেল বা কনটেন্ট এর মাধ্যমে পণ্যের গুণগত মান গ্রাহকের কাছে তুলে ধরা হয়। এর সাহায্যে খুব কম সময়ে একসাথে অনেক গ্রাহকের কাছে আপনার বার্তা পৌঁছানো যায়।

ইমেইল মার্কেটিং সাধারণত তিনটি ধাপে করা হয় ...

  • ইমেইল কালেকশন
  • ইমেইল টেমপ্লেট
  • ইমেইল ডেলিভারি

ইমেইল কালেকশন: ইমেইল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইমেইল কালেকশন করা। আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন সম্পর্কে তথ্য আপনার গ্রাহক কে পাঠাতে হলে অবশ্যই গ্রাহকের ইমেইল এডড্রেস জানতে হবে। তাই যত বেশি ইমেইল এড্রেস আপনার কাছে থাকবে আপনি তত বেশি গ্রাহক কে ইমেইল পাঠাতে সক্ষম হবেন।

ইমেইল মার্কেটিং এর সবথেকে প্রয়োজনীয় অংশ হচ্ছে ইমেইল ডেলিভারি। SMTP (simple mail transfer protocol) সার্ভার যেকোনো ইমেইল ডেলিভারি করার জন্য প্রয়োজন। ইমেইল পাঠানোর জন্য Verizon, Comcast, AOL, Gmail, Yahoo, GoDaddy, Earthlink ইত্যাদি এই সাইট গুলো ব্যবহার করা হয়।

ইমেইল টেমপ্লেট: গ্রাহক কে ইমেইল করার পূর্বে ইমেইল টেম্পলেট বানাতে হয়। এছাড়াও আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে পণ্য সম্পর্কে আপনার গ্রাহক কে তথ্য পাঠাবেন সেই কনটেন্টটি যেন অবশ্যই খুব সুন্দর ভাবে গোছানো থাকে যাতে আপনার গ্রাহকরা খুব সহজেই ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার পণ্যের ব্যাপারে জানতে পারে। এটি ইমেইল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ইমেইল ডেলিভারি: তবে এই সাইট গুলোর মাধ্যমে একসাথে অনেক বেশি মেইল করা সম্ভব হয় না। তাই একসাথে অনেক মেইল পাঠানোর জন্য SMTP সার্ভার কিনে সেট-আপ করে নিতে হয়। তাই একজন সফল ইমেইল মার্কেটার হওয়ার জন্য SMTP সার্ভার অবশ্যই সেট-আপ করতে হবে।

পার্ট-6: মোবাইল মার্কেটিং

জি এস এম এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারা বিশ্বে মুঠোফোন ব্যবহারকারির সংখ্যা ৪৯২ কোটি। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ সংযোগ ব্যবহৃত হচ্ছে স্মার্টফোন এর মাধ্যমে। তবে দিনে দিনে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

আপনার পণ্য বা সেবার প্রচারণা মোবাইল এর মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় তাকে মোবাইল মার্কেটিং বলে।

মোবাইল মার্কেটিং এর বিভিন্ন ক্ষেত্র রয়েছে । তার মধ্যে অন্যতম-

  • এস এম এস মার্কেটিং (SMS Marketing)

  • এম এম এস মার্কেটিং (MMS Marketing)

জরিপ অনুসারে প্রতি ৩ মিনিটে ৯৭% মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী টেক্সট মেসেজ ওপেন করে। ২৫% আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করে।

এছাড়াও সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই যে ৭০% মোবাইল ব্যবহারকারী অনলাইন থেকে কেনাকাটা করে। এসব তথ্যের উপর ভিত্তি করে বলা যেতে পারে মোবাইল মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম একটি অংশ।

Bulk SMS Marketing এর ব্যাপারে অনেকেই হয়তো জানেন। এস এম এস মার্কেটিং এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেননা আপনি খুব কম সময়ে সহজ উপায়ে একসাথে অনেক গ্রাহক কে এস এম এস পাঠাতে সক্ষম হবেন।

এটি একটা লাভজনক মার্কেটিং প্রক্রিয়া কেননা বর্তমান সময়ে সবাই মোটামুটি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে। তাই শুধু মাত্র মোবাইল ব্যবহার করেই আপনি আপনার পণ্যকে গ্রাহকের কাছে পৌছে দিতে পারেন খুবই কম সময়ে।

পার্ট-7: এফিলিয়েট মার্কেটিং

এফিলিয়েট মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি বড়ো জায়গা জুড়ে রয়েছে। এর পুরো বিশ্লেষণ দিতে গেলে অনেক গুলো বিষয় চলে আসবে। তবে খুব সহজে বোঝানোর জন্য আমি সংক্ষেপে কিছু ধারণা দিচ্ছি।

এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অন্যতম মার্কেটিং সিস্টেম যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই অনেক টাকা অর্জন করতে পারবেন প্যাসিভ আর্নিং এর মাধ্যমে।

সাধারণত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এর পণ্য আপনার ওয়েবসাইট এ প্রচার করে বিক্রয় এর মাধ্যমে কমিশন আয় করাকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত তিনটি বিষয়ের সাথে জড়িত যেমন;

  • এ্যাডভার্টাইজার

  • এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক

  • পাবলিশার

error: Content is protected !!