অনলাইন বিজনেস গ্রোথের সেরা ৭টি ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি

ইফেক্টিভ ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি হচ্ছে, এমন একটি পরিকল্পনা যা আপনার অনলাইন বিজনেসের গ্রোথ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে সেলস বাড়ানোর জন্য আপনাকে বড় সংখ্যক টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে হবে, আপনার ভিজিটরদের এনগেজমেন্ট এবং ইন্টারএ্যাকশন বাড়াতে হবে।

অনলাইন বিজনেস গ্রোথের সেরা ৭টি ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি

আর মনে রাখতে হবে যে, এই প্রক্রিয়া যতদিন চলমান থাকবে ততদিন আপনি রেভিনিউ জেনারেইট করতে পারবেন বা টাকা আয় করতে পারবেন।

এবং এই ধাপগুলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যদি আপনি অনলাইন বিজনেসে খুবই ভালোভাবে নিজের অবস্থান তৈরি করতে চান।

এ ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক কৌশল আছে, যার মাধ্যমে আপনি সফল হতে পারবেন।

যেমন …

  • কন্টেন্ট মার্কেটিং এর ব্যবহার করে আপনি আপনার ভিজিটরদের প্রশ্নের উত্তর দিবেন।
  • লেস্টেস্ট মার্কেটিং টুলসের ব্যবহার করে কাস্টোমারদের বেস্ট ভ্যালু প্রদান করবেন।
  • ফ্রি এবং পেইড মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার বিজনেসে কাস্টোমার আকৃষ্ট করবেন।
  • এরকম আরও অনেক মাধ্যম, যা আমরা নিচে আলোচনা করবো।

এই পোস্টে আমরা আলোচনা করবো, সেরা ৭টি প্রুভেন ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি সম্পর্কে যার মাধ্যমে আপনার অনলাইন ইনকাম বা বিজনেসে প্রভাব তৈরি করতে পারবেন।

যে বিষয়গুলো আমরা আলোচনা করবোঃ

  • মার্কেটিং স্ট্রাটেজি কি?
  • ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি কি?
  • কি ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি বর্তমানে কার্যকরি?

এবার চলুন শুরু করা যাক …

মার্কেটিং স্ট্রাটেজি কি?

মার্কেটিং স্ট্রাটেজি হচ্ছে যেকোনো ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে পটেনশিয়াল গ্রাহকদের সমস্যাগুলো বোঝার মাধ্যমে একটি সুন্দর সমাধান প্রদান করার মাধ্যমে তার ব্যবসায়িক লক্ষ্য অর্জন করা।

মার্কেটিং স্ট্রাটেজি কি?

এছাড়াও অধিক সেলস, সকল টার্গেটেড কাস্টোমারের কাছে পৌঁছানো কিংবা মার্কেট শেয়ার দখল ইত্যাদিও মার্কেটিং এর লক্ষ্য হতে পারে।

এই স্ট্রাটেজিটি একটি মার্কেটিং প্ল্যানের মাধ্যমে শুরু হয়, যার মধ্যে থাকে টার্গেট মার্কেট, মার্কেট কম্পিটিশন, মার্কেটিং কৌশল, টাইমলাইন ইত্যাদি।

ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি কি?

আমরা মার্কেটিং নিয়ে কথা বলবো, কিন্তু এর মধ্যে অনলাইন বা ডিজিটাল মার্কেটিং থাকবে না তা কি হয়। এছাড়া বর্তমানে মার্কেটিংকে অনলাইন থেকে আলাদা করা ভাবা প্রায় অসম্ভব।

বর্তমানে, আমরা প্রত্যেকেই একে অপরের সাথে জড়িত এবং ইন্টারঅ্যাক্ট করছি – এমনকি আমরা অনলাইনে কেনাকাটা ও বিভিন্ন সেবা নিচ্ছি।

সঠিক ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি নির্ধারণ করে যে অনলাইন বিজনেসের সাফল্য অর্জনের জন্য ঠিক কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে।

সাধারণত, এই স্ট্রাটেজি তৈরি করা হয় নিম্ন-বর্নিত উদ্দেশ্যকে লক্ষ্য করে:

  • অডিয়েন্সের গ্রোথ বাড়ানোর জন্য
  • ব্রান্ড সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে
  • কোয়ালিটি লীড পাওয়ার জন্য
  • কনভার্শন বৃদ্ধি করার জন্য
  • এনগেইজমেন্ট বাড়ানোর জন্য
  • ইন্টার-এ্যাকশন বাড়ানোর জন্য
  • সেলস বৃদ্ধি করার জন্য

অন্য সবধরনের মার্কেটিং এর মত, ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি তৈরি করা হয় বিজনেসের জন্য আদর্শ কাস্টোমার খোজার জন্য। সর্বোপরি, আপনি যে প্ল্যাটফর্মেই মার্কেটিং করেন না কেন, মনে রাখবেন যে “মার্কেটিং মেসেজটি” সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এবং প্রতিটি ডিজিটাল মার্কেটিং ট্যাক্টিক্স এর মূল লক্ষ্য থাকে ব্রান্ড ইমেজ, সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে সেলস বৃদ্ধির করা এবং তা ধরে রাখা।

ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি কি?

যেমন, এসইও স্ট্রাটেজির মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের অর্গানিক (ফ্রী) ট্রাফিক বৃদ্ধি করে আপনার বিজনেস সম্পর্কে মানুষকে ধারণা দেয়া। এরপর তারা যখন আপনার কন্টেন্ট পড়বে, এবং ভালো লাগবে তখন তারা ইমেইল লিস্টে জয়েন করবে পরবর্তি আপডেট বা আরও জানার জন্য।

এরপর যখন আপনি তাদের ইমেইলে, সোশ্যাল মিডিয়া বা ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমে নতুন কন্টেন্ট এর আপডেট দিবেন তখন তারা আবার ফিরে আসবে আপনার ব্লগ বা সাইটে সেই কন্টেন্ট পড়ার জন্য।

এভাবে যখন তারা কন্সিডারেশন স্টেজে চলে আসবে, আপনি তাদেরকে পুর্ব-বর্নিত মাধ্যম বা ফেসবুক এ্যাডস কিংবা গুগোল পিপিসির মাধ্যমে রিটার্গেটিং এ্যাডস ব্যবহার করে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস অফার করবেন।

মনে রাখবেন, একজন কাস্টোমার আপনার সাইটে ৬-৮ বার ভিজিট করবে কোনকিছু কেনার পুর্বে (ডেটা এ্যানালিসিস রিপোর্ট অনুযায়ী)।

এরজন্য যে আপনাকে ১০০% পার্ফেক্ট ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি তৈরি করতে হবে, তা কিন্তু নয়। তবে, আপনার এ্যাডের মেসেজটি যেন ক্লিয়ার থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি আপনি ভালো সেলস জেনারেইট করতে চান।

কি ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি বর্তমানে কার্যকরি?

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলো তাদের প্রয়োজন এবং বাজেট অনুসারে ফ্রি এবং পেইড সবধরণের কৌশল ব্যবহার করে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো কৌশল রয়েছে যার মাধ্যমে আপনার ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ও সফলতা অর্জন সম্ভব।

এবং এর কৌশল গুলো বিজনেসের ধরণ অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে, যেমন – ব্লগারদের জন্য এক ধরণের কৌশল, ইকমার্স বিজনেসের জন্য অন্য কৌশল, আবার যদি আপনি দেশের বাহিরের অডিয়েন্সকে টার্গেট করেন তাহলে আলাদা কৌশল অবলম্বন করতে হবে।

এই পোস্টে, আমরা সেরা ৭টি ডিজিটাল মার্কেটিং এর স্ট্রাটেজি সম্পর্কে জানবো এবং শিখবো যে কিভাবে তা বাস্তবায়ন করা যায়। আরও জানবো যে, কেন এটি গুরত্তপুর্ন এবং কিভাবে এর মাধ্যমে আমরা রেজাল্ট পাবো।

১। সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (এসইও)

আমার মনে করি যে, যাদের অনলাইন বিজনেস আছে তাদের জন্য গুগল হচ্ছে ১-নাম্বার প্লাটফর্ম।

আপনি জানেন কি? গুগোলে প্রতি সেকেন্ডে ৭৭,০০০ এর বেশি সার্চ করা হয়। মানুষ তার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান খোজার জন্য সার্চ ইঞ্জিনে (গুগোল) সার্চ করে।

এজন্য আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগকে অনেক ভালোভাবে অপ্টিমাইজ করতে হবে যেন লোকেরা আপনাকে খুঁজে পায় এবং তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারে।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (এসইও)

যেহেতু এসইও এর মাধ্যমে আপনি ফ্রি ট্রাফিক পাবেন, সেহেতু আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি হিসেবে এসইওকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।

আপনি যদি এখনো আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগকে এসইও অপ্টিমাইজ করার ব্যাপারে গুরুত্ব না দেন তাহলে আপনি নিশ্চিত অনাগত দিনের কম্পিটিশনে পিছিয়ে পড়বেন। কেন, তা জানতে নিচের দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্ট্যাটিস্টিক্স একটু দেখুন:

  • একটি সমীক্ষার মাধ্যমে গুগল প্রকাশ করেছে যে ৪৯% অংশগ্রহণকারী বলেছেন যে তারা একটি নতুন পণ্য খুঁজে পেতে বা এর সম্পর্কিত তথ্য অনুসন্ধান করতে গুগোলে সার্চ করে থাকেন।
  • গুগোলে প্রতি সেকেন্ডে ৭৭,০০০ এর বেশি সার্চ করা হয় বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেতে।

এই সংখ্যাগুলির অর্থ হচ্ছে যে, যদি আপনি আপনার সাইটটি সঠিকভাবে অপ্টিমাইজ করতে ব্যর্থ হন তাহলে অনেক বিশাল সংখ্যক ফ্রি ট্র্যাফিক থেকে আপনি নিজেকে বঞ্চিত রাখছেন।

অন্যদিকে, আপনি আপনার ওয়েবসাইট পেজ বা ব্লগ পোস্ট এর কন্টেন্ট গুলো ভালোভাবে স্কেলিং করতে পারলে আপনি গুগোলের ফ্রি ট্রাফিক পেতে পারেন।

একটা উদাহরণ দেই আপনাদের, তাহলে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।

এখানে আমি বাংলাদেশের একটা ওয়েবসাইট (নাম প্রকাশ করতে পারছি না এনডিএ এর কারণে) এর স্ট্যাটিস্টিক্স শেয়ার করছি, তারা এসইও থেকে প্রতি মাসে ১২,০০০+ ফ্রি ইন্টারন্যাশনাল ট্রাফিক পেয়ে থাকে।

এবং যে কিওয়ার্ড গুলো থেকে তারা ফ্রি ট্রাফিক পাচ্ছে তার এ্যাভারেইজ সিপিসি কত জানেন ৬.৪০ ডলার (মানে প্রতি ক্লিকের মূল্য বর্তমান বাংলাদেশি টাকায় ৬৫০ টাকা)।

এখন যদি তার ১২,০০০ ট্রাফিকের মূল্য বের করি (১২০০০ x ৬৫০ = ৭,৮০০,০০০ টাকা) যা ওই সাইট ফ্রি পাচ্ছে প্রতি মাসে।

যদি উনি এসইও না করে যদি এসব কিওয়ার্ড থেকে পেইড ট্রাফিক নিতো, তাহলে বুঝতে পারছেন তার কত টাকা ব্যয় হত।

অথচ, ওই বিজনেস প্রতি মাসে এসইও টীমের পিছনে ২ লাখ টাকা ব্যয় করে, বিনিময়ে ৭৮ লাখ টাকা মূল্যের ট্রাফিক ড্রাইভ করে তাদের ওয়েবসাইট এ।

এর মাধ্যমে দীর্ঘ দিন থেকে তারা বাংলাদেশের একটা স্পেসিফিক সেক্টরে দাপটের সাথে বিজনেস করে আসতেছে। কারণ, ওই বিজনেসের ওনার অনেক দক্ষ একজন মানুষ যে সেই ২০১০ সাল থেকে এসইও কে প্রাধান্য দিয়ে বিজনেসকে এগিয়ে নিয়েছে।

এসইও অপ্টিমাইজেশন আপনাকে কিভাবে হেল্প করবেঃ

  • কোয়ালিটি ট্রাফিক আকৃষ্ট করে
  • অনলাইন প্রেসেন্স বৃদ্ধি করে
  • কন্টেন্ট রিডার বৃদ্ধি করে
  • ব্রান্ড অথোরিটি তৈরি করে
  • আপনার সেলস বৃদ্ধি করে

খুবই ভালো মানের এসইও স্ট্রাটেজি এর মধ্যে থাকে – টেকনিক্যাল এসইও, কিওয়ার্ড রিসার্স, এসইও অপ্টিমাইজ কন্টেন্ট রাইটিং, ব্লগ পোস্ট গুলো সঠিকভাবে ফর্ম্যাট করা এবং হাই কোয়ালিটি লিংক-বিল্ডিং করা।

২। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (এসএমএম)

আপনি জানেন কি – সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন গড়ে ১৪৪ মিনিট সময় ব্যয় করে এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে?

আমি কিন্তু ৩.২ বিলিয়ন মানুষের কথা বলছি যারা প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (এসএমএম)

সো, কল্পনা করতে পারেন যে এই ৩.২ মিলিয়ন নয় বিলিয়ন মানুষের টোটাল কত সময় ব্যয় করছে।

এবার একটু চিন্তা করে দেখুন তো, এই সোশ্যাল মিডিয়া আপনার বিজনেসকে কতটা উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে যদি আপনি এর সঠিক ব্যবহার করতে পারেন।

আমি নির্দিধায় বলতে পারি যে, আপনার টার্গেটেড ভিজিটররা অবশ্যই একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে ব্যবহার করে থাকে।

এর অর্থ হচ্ছে যে, আপনার বিজনেসকেও এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে এ্যাক্টিভ থাকতে হবে যদি আপনি বিজনেস গ্রোথ চান।

শুধু যেনতেন ভাবে এ্যাক্টিভিটি করলে হবে না। এরজন্য আপনার ডেডিকেটেড টীম এবং সঠিক মার্কেটিং স্ট্রাটেজি এপ্লাই করতে হবে, সর্বোচ্চ আউটপুট পেতে চাইলে।

টপ সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলো হচ্ছেঃ

  • ফেসবুক
  • টুইটার
  • লিংকডইন
  • ইউটিউব
  • ইন্সটাগ্রাম

ছোট এবং বড় বিজনেস গুলির উচিত এই সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার করা, তাদের নিজেদের ব্রান্ড অথোরিটি তৈরি করার জন্য। এজন্য আপনাকে যে পয়েন্টগুলিতে পুর্ণ ফোকাস দিতে হবে, তা হচ্ছেঃ

  • কন্টেন্ট ডেলিভারি
  • কাস্টোমার ইন্টারএ্যাকশন
  • কাস্টোমার সার্ভিস
  • ইমেজ বা ভিডিও এর ব্যবহার
  • বিভিন্ন ধরণের কন্টেস্ট এবং প্রোমোশন ইত্যাদি

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং একটি বিজনেসকে নিয়মিতভাবে তার ভিজিটরদের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে।

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আপনি পোস্ট, কন্টেন্ট, ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে আপনার পণ্য বা সার্ভিসের প্রচার করতে পারবেন।

বড় ব্র্যান্ডগুলি সবসময় এই প্ল্যাটফর্মগুলিকে ক্রিয়েটিভ ভাবে ব্যবহার করে তার ইউজার এঙ্গেইজমেন্ট বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ব্র্যান্ডের ভ্যালু বাড়াতে।

প্রত্যেকটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের আলাদা ভ্যালু আছে যা আপনাকে টার্গেটেড ইউজারের কাছে পৌছাতে এবং এঙ্গেইজমেন্ট বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

  • বর্তমানে, ফেসবুক হচ্ছে মার্কেটিং এর প্রধান মাধ্যম কন্টেন্ট ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য।
  • ইন্সটাগ্রাম হচ্ছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সোশ্যাল প্লাটফর্ম (ROI) রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্টের জন্য।
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বব্যাপী টুইটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

৩। পে-পার-ক্লিক (PPC)

পে পার ক্লিক (PPC) বিজ্ঞাপন হল একটি পেইড ফর্ম্যাট যাতে আপনার ওয়েবসাইটটি নির্দিস্ট কিওয়ার্ডে গুগোল সার্চ রেজাল্টের শীর্ষে থাকে।

এর সকল কাজ “গুগোল এ্যাডস” এর মাধ্যমে করা হয়, এবং এটি সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম পেইড ক্যাম্পেইন তৈরি করার এবং এর থেকে প্রাপ্ত ফলাফল ট্রাক করার।

পিপিসি এর মাধ্যমে পেইড এ্যাডভার্টাইজ করার দুইটি পদ্ধতি আছে, একটি হচ্ছে “ডিসপ্লে নেটওয়ার্ক” এবং অন্যটি হচ্ছে “সার্চ নেটওয়ার্ক”।

  • গুগল ডিসপ্লে নেটওয়ার্ক

গুগল ডিসপ্লে নেটওয়ার্ক এতটাই শক্তিশালী যে এর মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৯০% মানুষের কাছে আপনার পণ্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন পৌছাতে পারবেন।

গুগল ডিসপ্লে নেটওয়ার্ক

এই নেটওয়ার্কে জয়েন করার জন্য ওয়েবসাইট ওনাররা (যাদেরকে আমরা পাবলিশার নামে চিনে থাকি) গুগোল এ্যাডসেন্স ব্যবহার করে তাদের সাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের এর জায়গা দেয়।

এরফলে অনলাইন বিজনেসগুলি গুগল ডিসপ্লে নেটওয়ার্কে ইনভেস্ট করে থাকে তাদের ব্যানার এ্যাডস রিলেভেন্ট সাইটে শো করার জন্য।

আপনি যদি স্মল-বিজনেস ওনার হয়ে থাকেন তাহলে ডিসপ্লে নেটওয়ার্ক এর রি-টার্গেটিং এ্যাডভার্টাইজিং মেথড ব্যবহার করা উচিত। কারণ এর মাধ্যমে অনেক ভালো কনভার্শন পাওয়া যায়।

রি-টার্গেটিং মেথডে, যদি একজন ইউজার আপনার সাইট একবার ভিজিট করে, তাহলে সে অডিয়েন্স পুলে পরে যাবে।

এরফলে সে অনলাইনে যে ওয়েবসাইট এই যাক না কেন, আপনার এ্যাড তাকে ফলো করে সেই সাইটে গিয়ে তাকে এ্যাড শো করাবে।

এবং যেহেতু সে আপনার পণ্য বা সার্ভিসে ইন্টারেস্ট দেখিয়েছে, সেহেতু একটা পর্যায় গিয়ে সে আপনার সার্ভিস বা পণ্য অর্ডার করবেই।

আর, এটাই হচ্ছে রি-টার্গেটিং এ্যাডসের সবচেয়ে মজার দিক, অল্প খরচে অনেক বেশি সেল জেনারেইট করা যায়।

  • গুগোল সার্চ নেটওয়ার্ক

সার্চ নেটওয়ার্কের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, টার্গেটেড কিওয়ার্ডে সার্চ ইঞ্জিন ফলাফল পেজর শুরুতেই আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের প্রদর্শনির মাধ্যমে আপনার ট্রাফিক বৃদ্ধি করা এবং বিজনেসের গ্রোথ বাড়ানো।

গুগোল সার্চ নেটওয়ার্ক

এবং বিজ্ঞাপনগুলি রেজাল্ট পেজের শুরুতে একদম শীর্ষ পজিশনে অবস্থান করে, এর ফলে অনেক বেশি টার্গেটেড ট্রাফিক খুবই দ্রুত সময়ের মাধ্যমে পাওয়া যায়।

যা কিনা অর্গানিক এসইও এর মাধ্যমে ওই পজিশনে যেতে আপনার কয়েক মাস থেকে বছরও লেগে যেতে পারে।

আপনি গুগোল এ্যাডস এর মাধ্যমে আপনার বিজ্ঞাপনকে কাস্টোমাইজ করতে পারবেন।

আপনি গুগোল এ্যাডসের এই দুটি চ্যানেলের সাহায্যে, আপনার বিজনেস নিশ স্পেসিফিক হাই-ইন্টেন্ট টার্গেটেড ট্রাফিকের কাছে আপনার বিজ্ঞাপন খুবই দ্রুত এবং বার বার প্রদর্শনের মাধ্যমে কাংখিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন।

৪। ইমেইল মার্কেটিং

ইমেইল মার্কেটিং মূলত হচ্ছে সরাসরি কাস্টোমারের কাছে মার্কেটিং মেসেজটি পৌছিয়ে দেয়া। বর্তমানে বিজনেস গোল এ্যাচিভ করার সেরা মার্কেটিং মাধ্যম গুলোর একটি এই ইমেইল মার্কেটিং।

এরজন্য প্রথমে আপনাকে আপনার টার্গেটেড ইউজার, পটেনশিয়াল বায়ার এবং আপনার সকল কাস্টোমারদের লীড কালেক্ট করে একটি ইমেইল লিস্ট তৈরি করতে হবে, যাদেরকে আপনার বিভিন্ন মাধ্যমে থেকে সংগ্রহ করতে হবে।

ইমেইল মার্কেটিং

এরফলে তাদের কাছে আপনার নিশ রিলেটেড কন্টেন্ট ইমেইলের মাধ্যমে ডিরেক্ট মার্কেটিং করে আপনার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে সেলস ফানেলের সাহায্য নিতে হবে।

এই ইমেইল মার্কেটিং স্ট্রাটেজির মূল লক্ষ্য হচ্ছে হাই-কোয়ালিটি কন্টেন্ট শেয়ার করা এবং ডিস্কাউন্ট অফার পাঠানোর মাধ্যমে তাদের কাছে আপনার সার্ভিস বা পণ্য সেল করা।

উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি কোম্পানি তার নতুন পণ্য বা সার্ভিস শুরু করে, তাহলে ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে এর প্রচারনার সেরা উপায়।

আপনার কালেক্ট করা লীড সমূহকে সঠিকভাবে ব্যবহার করে বিজনেস গ্রোথ বাড়ানোর সেরা উপায়টি হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং।

কারণ, এটি আপনাকে আপনার টার্গেটেড ইউজারদের কাছে পৌঁছাতে এবং তাদেরকে কনভেন্স করে আরও বেশি সেলস করতে সাহায্য করে।

৫। ইকমার্স মার্কেটিং

সকল ইকমার্স বিজনেস ওনারদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটি হচ্ছে তাদের অনলাইন শপটি গ্রো করা।

আর এজন্য শুধুমাত্র পার্ফেক্ট ইকমার্স মার্কেটিং স্ট্রাটেজিই পারে অধিক পরিমাণ কাস্টোমার আকৃষ্ট করে আপনার পণ্য বা সার্ভিসের সেলস বৃদ্ধি করতে।

একটি অনলাইন শপের সাফল্য যেসব কারণের উপর নির্ভর করে:

  • অনলাইনে ভিজ্যাবিলিটি বাড়ানো (যা এসইও এর মাধ্যমে সম্ভব);
  • ব্যপক প্রচার (যা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে করা যাবে);
  • এনগেইজমেন্ট (এর জন্য দরকার খুবই ভালো মানের ব্লগ কন্টেন্ট স্ট্রাটেজি যা ইমেইল মার্কেটিং এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রোমোট করা।

সুতরাং, ইকমার্স মার্কেটিং হল বিভিন্ন মিডিয়ার ব্যবহার করে ব্রান্ড স্ট্যাব্লিশ করা।

যদিও আপনার অনলাইন স্টোরের সফলতার জন্য কোন ম্যাজিক বা শর্ট-কাট রাস্তা নেই, কিন্তু এর গ্রোথ বৃদ্ধির জন্য অনেক কৌশল আছে।

একটি ইকমার্স ওয়েবসাইট এর ৩টা মেইন পিলার হচ্ছেঃ ক্যাটেগরি পেইজ, প্রোডাক্ট পেইজ, এবং ব্লগ পোষ্ট।

ইকমার্স মার্কেটিং

যেহেতু কন্টেন্ট ইজ কিং, সেহেতু দেখা যাবে স্মল নিশের ক্ষেত্রে ব্লগ পোষ্ট থেকে বেশি ভিজিটর আসবে যেগুলো আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কিত।

একটা উদাহরণ দেই…

ধরুন আপনি একটা ইকমার্স স্টোর চালান যেখানে আপনি ঘর সাজানোর জিনিসপত্র বিক্রি করেন।

এখন যদি আপনার সাইটে এর উপর ব্লগ পোষ্ট থাকে যেমন –

  • কিভাবে আপনি আপনার লিভিং বা বেডরুম ডেকোরেশন করবেন?
  • কি ধরণের আসবাবপত্র আপনার ঘরে জন্য মানানসই?

তাহলে দেখবেন এই পোষ্টগুলো থেকে যেসব ভিজিটর আপনি পাবেন তারা সবাই আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসে আগ্রহী।

এজন্য আপনি যখন ব্লগ পোস্টের জন্য কন্টেন্ট লিখবেন (সারফার অপ্টিমাইজ কন্টেন্ট) তখন সেই কন্টেন্ট থেকে রিলেভেন্ট ক্যাটাগরি পেইজে লিংক করবেন।

এরপর দেখবেন সেই কন্টেন্ট যখন গুগোলে টপ পজিশন পাবে তখন সেই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে আপনি কি পরিমাণ কাস্টোমার পান।

ফাইনালি, আপনার প্রোডাক্ট পেইজ (মানি পেইজ) যেখানে আপনার সকল ভিজিটরকে ড্রাইভ করে সেলস করবেন। আপনি চাইলে আপনার ব্লগ পোষ্ট থেকেও আপনার প্রোডাক্ট পেইজে লিংক করে আরও বেশি কাস্টোমার আকৃষ্ট করতে পারবেন।

ওভারঅল, ইকমার্স বিজনেসে সফলতা পাবার জন্য আপনাকে এসইও, ইমেইল মার্কেটিং, পেইড এ্যাডভার্টাইজিং (গুগোল বা ফেসবুক), রি-টার্গেটিং এ্যাডস ক্যাম্পেইন এর ব্যবহার করতে হবে।

আপনার মেইন ফোকাস থাকবে টার্গেটেড ট্রাফিক নিয়ে আসা, তাদেরকে আপনার ইমেইল লিস্টে এ্যাড করা এবং আপনার অফার তাদের কাছে প্রোমোট করে আপনার টার্গেটেড প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করা।

৬। কন্টেন্ট মার্কেটিং

কন্টেন্ট মার্কেটিং বর্তমান সময়ের বহুল ব্যবহৃত – ইন্টারনেটের সব জায়গায় খুঁজে পাবেন – নিউজ, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা যা দেখি এর সবই কন্টেন্ট।

কন্টেন্টকে আমরা প্রায় সব ফর্মেই পেয়ে থাকি, যেমন – ব্লগ পোষ্ট, ইমেইজ, ভিডিও, ওয়েবইনার, পডকাস্ট, ইনফোগ্রাফিক্স, অনলাইন কোর্স সহ আরও অনেক জায়গায়।

কন্টেন্ট মার্কেটিং

কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে – নতুন লীড সংগ্রহ করা ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনার মাধ্যমে এবং তাদের স্পেসিফিক এ্যাকশন এর মাধ্যমে রেভিনিউ জেনারেইট করা।

পটেনশিয়াল কাস্টোমারের কাছ থেকে তার কন্ট্যাক ইনফর্মেশন (নাম, ইমেইল এ্যাড্রেস বা মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি) সংগ্রহ করার জন্য আপনাকে এমন কিছু ফ্রি তে অফার করতে হবে যার ভ্যালু আছে।

কন্টেন্টকে বলা হয় ট্রাস্ট বিল্ডার, যা আপনাকে অডিয়েন্স তৈরি করতে এবং আপনাকে একজন অথোরিটি হিসেবে আপনার ফিল্ডে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করে।

এজন্য আপনার মার্কেটিং স্ট্রাটেজির প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে কন্টেন্ট ব্যবহার করে সেলস ফানেলে নিয়ে আসা খুবই গুরত্তপুর্ণ।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি একজন ইকমার্স রিটেইলার স্পোর্টস প্রোডাক্ট সেল করেন তাহলে আপনার কি ধরণের কন্টেন্ট ব্যবহার করা উচিত …

  • সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য: একটি ব্লগ পোস্ট লিখতে পারেন সেরা ফুটবল বুটস সম্পর্কে।
  • কাস্টোমারের বিবেচনার জন্য: প্রোডাক্টসের ডিস্কাউন্ট অফার প্রোমোট করতে ইমেইল মার্কেটিং করতে পারেন।
  • বাইং ডিসিশনের জন্য: খুবই ভাল মানের একটি প্রোডাক্ট পেইজ (কাস্টোমার রিভিউ সহ) যা কাস্টোমারকে কিনতে উৎসাহ দেয়।

কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মধ্যে রেফারেল মার্কেটিং কিংবা এ্যাফিলিয়েট পার্টনারশিপও অন্তর্ভুক্ত যা আপনার ওয়ার্ড-অব-মাউথ হিসেবে আপনার বিজনেসের ট্রাস্ট বিল্ডিং এ সাহায্য করে থাকে।

আপনি উপরে ৩টা স্টেইজ ফলো করে আপনার কাস্টোমারের জার্নিকে প্রভাবিত করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, আপনাকে আপনার পটেনশিয়াল বায়ারকে সঠিক ইনফর্মেশন সঠিক সময়ে প্রোভাইড করতে হবে।

৭। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং ইনস্টিটিউট এর একটি সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে ৪৯% উত্তরদাতা কিছু কেনার জন্য ইনফ্লুয়েন্সার সুপারিশের উপর নির্ভর করে।

বর্তমানে, কোম্পানিগুলি ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং কে মার্কেটিং এর প্রধান স্ট্রাটেজি হিসেবে গণ্য করে। বর্তমানে কাস্টোমাররা কোনকিছু কেনার পুর্বে তার পছন্দের ইনফ্লুয়েন্সার এর মতামতকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। কারণ, তারা তাকে বিশ্বাস করে।

এজন্য আমি বলি যে এই যুগটা ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর যুগ। তাই, আপনার ব্রান্ডের মার্কেটিং এর জন্য এর বিকল্প নেই।

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং

তবে আপনাকে সবসময় আপনার নিশ রিলেটেড ইনফ্লুয়েন্সারকে ব্যবহার করতে হবে যদি ভালো (ROI) রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্ট পেতে চান।

ইনফ্লুয়েন্সাররা হচ্ছেন সম্মানিত ব্যক্তি, যারা ভোক্তাদের মাঝে আকাঙ্ক্ষা তৈরি করতে এবং কেনার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখেন। আর তাই, এই ইনফ্লুয়েন্সাররা একটি ব্র্যান্ডের প্রোমোশনের জন্য অপরিহার্য অংশ।

সফল ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর জন্য যে ৩টি মেথড সবচেয়ে বেশি কার্যকর, সেই ফর্ম্যাট হচ্ছে …

  • সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট
  • ভিডিও রিভিউ
  • ব্লগ পোস্ট

এই স্ট্রাটেজির মাধ্যমে আপনি অনেক ভালো রেভিনিউ জেনারেইট করতে পারবেন, যেমন – ১টাকা খরচ করে আপনার ৩-৫টাকা ইনকাম করতে পারবেন যদি সঠিকভাবে করতে পারেন।

এজন্য আপনাকে প্রথমে আপনার নিশ রিলেটেড ছোট ছোট ইনফ্লুয়েন্সারদের খুঁজে বের করতে হবে যাদের এ্যাক্টিভ অডিয়েন্স আছে।

কিন্তু আপনি ভুল করবেন, যদি সঠিক ইনফ্লুয়েন্সার এর পরিবর্তে অনেক বড়মাপের ইনফ্লুয়েন্সারদের ইউজ করেন যাদের সাথে আপনার নিশের কোন সম্পর্ক না থাকে।

আপনি যদি আপনার পণ্য বিক্রি করার জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের ব্যবহার করার জন্য একটি অনলাইন মার্কেটিং পরিকল্পনা করেন, তাহলে নিশ্চিত করুন যে তাদের অডিয়েন্স কোন টাইপের এবং তারা কি আপনার নিশের প্রোডাক্টে আগ্রহী কিনা।

এসব ম্যাট্রিক্স ফলো করে যদি আপনি সঠিক ইনফ্লুয়েন্সার এর মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রোমোশন করতে পারেন তাহলে আপনি খুবই ভালো রিটার্ন পাবেন, ইনশাআল্লাহ্‌।

মনে রাখবেন, একটা ভালো মার্কেটিং স্ট্রাটেজি আপনার বিজনেসে দুর্দান্ত ফলাফল আনতে পারে, যদি এটি ব্যবসার প্রয়োজন অনুসারে বেছে নেওয়া হয়।

টার্গেটেড অডিয়েন্সের বৃদ্ধি থেকে আপনার সেলস বাড়ানো পর্যন্ত প্রতিটি লক্ষ্য আপনি অর্জন করতে পারবেন সঠিক ডিজিটাল মার্কেটিং এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে।

Reko Ashikur Rahman

Author

Reko Ashikur Rahman

Reko is a full-time blogger and affiliate marketer. Join Reko and 50k monthly readers on Imreko.com to learn how to start and develop your IT startup business. As a Head of Digital Marketing, Reko managed digital marketing teams for large IT companies.

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

error: Content is protected !!